আর এনডিএ-র শরিক হয়ে থাকা নয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে একলা লড়ার কথা ঘোষণা করে দিল শিবসেনা নেতৃত্ব। একই বছর মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনেও একই পথে হাঁটবে তারা।
মঙ্গলবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বসেছিল শিবসেনা নেতৃত্ব। সেখানেই বিজেপি-র সঙ্গে বা এনডিএ-র মধ্যে থেকে ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে আমরা জোটে রয়েছি। কিন্তু, গত তিন বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার সম্পর্ক খুবই খারাপ। বিজেপি বার বার শিবসেনাকে অবজ্ঞা করে চলেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’’
এ দিন প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও নিশানা করেন এই শিবসেনা নেতা। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর সঙ্গে অমদাবাদে রোড শো করলেন মোদী। কিন্তু, কেন শ্রীনগরের মতো জায়গায় যাওয়ার সাহস দেখালেন না?
বিজেপি-শিবসেনার সম্পর্ক আজকের নয়, নয়ের দশকে বালাসাহেব ঠাকরে, অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণীরা এই জোটে সিলমোহর দেন। এনডিএ জোটের অন্যতম পুরনো শরিক শিবসেনা। ১৯৮৯ থেকে সব লোকসভা ভোটে এনডিএ জোটে থেকেছে শিবসেনা। এমনকী মহারাষ্ট্রে গত বিধানসভা ভোটে সঙ্গে না থাকলেও পরে শিবসেনার সঙ্গেই জোট করে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস থাকবে, খোঁচায় শরিক শিবসেনা
তবে, নিত্য দিনই বিরোধ বাড়ছিল শিবসেনা এবং বিজেপির মধ্যে। মহারাষ্ট্রে কৃষিঋণ মকুবের দাবি থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার বিরোধ তুঙ্গে। সাম্প্রতিক অতীতে শিবসেনা নেতৃত্বের একাধিক মন্তব্য প্রায়ই অস্বস্তিতে ফেলেছে মোদী-অমিত শাহদের। এমনকী, মোদীর ‘কংগ্রেস-মুক্ত’ হওয়ার স্লোগানকে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে শিবসেনা নেতৃত্বের মুখে। মোদীর সেই মন্তব্যের কটাক্ষ করে সোমবারই শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেস একটি ইতিহাস। কারও কথায় তাদের এ ভাবে নির্মূল করা যায় না। অতীতেও তারা ছিল। এখনও আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে।’’
আরও পড়ুন: ভারত কি ঝুঁকছে ইজরায়েলের দিকে? বিশেষজ্ঞেরা বললেন...
এর আগে বৃহন্মুম্বই পুরনিগম ভোটেও শিবসেনা আলাদা লড়াই করে। আর এ দিন সেনা প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের জন্মদিনেই জোট ভেঙে পুরোপুরি বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।