কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।- ফাইল চিত্র।
ভোটের আগে ক্রমশই তরজায় তেতে উঠছে কর্নাটক। রাজ্যের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বিজেপি ও আরএসএসকে জঙ্গি সংগঠন আখ্যা দেওয়ার পরেই দুই শিবিরের লড়াই নতুন করে শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দাবি করেছেন, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিন্দু বিরোধী নীতি নিয়ে এগোচ্ছেন।
গত কাল বিজেপিকে জঙ্গি সংগঠন তকমা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিতর্ক সৃষ্টি করতেই পুরনো অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছেন সিদ্দারামাইয়া। নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন দাবি করেন, তিনি হিন্দু সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাজনীতির ফায়দার জন্য বিজেপি আর সঙ্ঘ হিন্দু সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। আমি মনে করি, যদি কেউ ঘৃণা ছড়ায়, সন্ত্রাসের সৃষ্টি করতে চায়— তা হলে সেটা জঙ্গি কাজকর্ম ছাড়া আর কিছু নয়।’’
এর পরেই পাল্টা আক্রমণে নামেন অমিত শাহ। কর্নাটকের একটি জনসভায় সিদ্দারামাইয়ার সরকারকে ‘হিন্দু-বিরোধী’ আখ্যা দেন তিনি। তাঁর দাবি, সোশ্যাল ডেমক্রেটিক পার্টি আব ইন্ডিয়া(এসডিপিআই) একটি দেশ বিরোধী সংগঠন। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নিচ্ছে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার। বিজেপি সভাপতির দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার কর্নাটকের বিকাশে ৩ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে। কিন্তু উন্নয়নের কাজ করতে পুরোপুরি ব্যর্থ বয়েছে রাজ্য।’’
বিজেপিকে জঙ্গি সংগঠন বলায় সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কর্নাটকের বিজেপি নেতারাও। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার ঘনিষ্ঠ নেত্রী শোভা করন্দলাজের বিরুদ্ধে হিন্দত্বের নামে সন্ত্রাস ছড়ানোর বলে অভিযোগ এনেছিল কংগ্রেস। সেই শোভা আজ দাবি করেন, ‘‘কংগ্রেসের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের যোগের কথা গোটা দেশ জানে। তারাই খালিস্তান আন্দোলনের জন্ম দিয়েছিল, ভিন্দ্রানওয়ালেকে তৈরি করেছিল। যার বলি হতে হয়েছে ইন্দিরা গাঁধীকে। এই কংগ্রেসই এলটিটিই তৈরি করেছে। যে সংগঠন হত্যা করেছে রাজীব গাঁধীকে। অথচ এত কিছুর পরেও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কংগ্রেস নরম।’’