Death

বুরারির দুঃস্বপ্ন ফিরিয়ে একই পরিবারে ছয় জনের দেহ উদ্ধার ঝাড়খণ্ডে

এ বার ঘটনাস্থল ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বিপুল আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিল গোটা পরিবার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রাঁচি শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৮ ১৬:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোনও দেহ রয়েছে ঝুলন্ত অবস্থায়। কোনওটা আবার সোফার উপর। আবার ঠিক পাশের ঘরে খাটের উপর রয়েছে আরও দুটি দেহ। সেই ঘরের শিলিং থেকে ঝুলছে আরও একটা।

Advertisement

কারও বয়স ৭০। কারও ৪০। রয়েছে আট এবং ছয় বছরের দুটি শিশুও। ঘরের ভিতর থেকে একই সঙ্গে পরিবারের পাঁচ জনের দেহ উদ্ধারের পর চমকে উঠেছিলেন তদন্তকারীরা। মুহূর্তে ভেসে উঠেছিল কয়েক সপ্তাহ আগে দিল্লির বুরারি মৃত্যু-রহস্যের ছবিটা।

এ বার ঘটনাস্থল ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বিপুল আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিল গোটা পরিবার। সে জন্য সবাইকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন পরিবারের কর্তা নরেশ মাহেশওয়ারি।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ছুটির দিন হঠাৎই তিন তলা থেকে ঝাঁপ দেন মহেশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। হাজারিবাগ সদরের খাজাঞ্জি তালাব এলাকায় সিডিএম অ্যাপার্টমেন্টের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশে। ঘটনাস্থলে আসেন তদন্তকারীরা। এর পরই ওই অ্যাপার্টমেন্টে নরেশের ঘরে যান তাঁরা। আর ঘরের ঢুকেই উদ্ধার হয় একের পর এক নিথর দেহ।

আরও পড়ুন: গণধর্ষণের পর মহিলাকে মন্দিরে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল দুষ্কৃতীরা

পুলিশ জানিয়েছে, ঘরের থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, চরম আর্থিক সমস্যায় ছিল পরিবারটি। আর সে জন্য বাবা-মা, স্ত্রী, দুই সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন মধ্য পঞ্চাশের নরেশ।

ডিএসপি চন্দ কুমার জানিয়েছেন, দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সুইসাইড নোটটিও ফরেনসিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সব কিছুর রিপোর্ট আসার পরই এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা সম্ভব।

আরও পড়ুন: ছাদ থেকে পরপর ঝুলছে ১০টি দেহ

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নরেশ একটা দোকান চালাতেন। কিন্তু, কিছু দিন হল বন্ধ হয়ে গিয়েছে দোকানটি। বেশ কিছু দিন ধরেই আর্থিক সমস্যায় ভুগছিল গোটা পরিবার। রোজগারের একমাত্র ‘উপায়’ দোকানটি বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু দিন তেমন মেলামেশা করতে দেখা যেত না পরিবারের কাউকে। পাড়ার লোকজনের সঙ্গে তেমন কথাবার্তাও বলত না তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা হলেন— নরেশের বাবা মহাবীর মাহেশওয়ারি (৭০), মা কিরণ দেবী (৬৫), স্ত্রী প্রীতি মাহেশওয়ারি (৪০), এবং তাঁর দুই সন্তান আমন (৮) এবং আনভি (৬)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন