অম্বানীর বিশ্ববিদ্যালয়কে শিরোপা কেন্দ্রের, বিতর্ক

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে শিরোপা মিলেছে বিটস পিলানি ও মণিপাল-এর। তবে ওই বিভাগে সকলকে চমকে দিয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জিয়ো ইন্সটিটিউট অব রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন নামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৮ ০৩:৩২
Share:

বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (আইআইএসসি)।- ফাইল চিত্র।

দেশের তিনটি সরকারি ও তিনটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উৎকর্ষের শিরোপা দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আইআইটি (দিল্লি ও মুম্বই) ও আইআইএসসি, বেঙ্গালুরু। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে শিরোপা মিলেছে বিটস পিলানি ও মণিপাল-এর। তবে ওই বিভাগে সকলকে চমকে দিয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জিয়ো ইন্সটিটিউট অব রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন নামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

Advertisement

ঘটনা হল, রিলায়্যান্সের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি এখনও খাতায়-কলমে কাজই শুরু করেনি। সূত্রের খবর, ওই প্রতিষ্ঠানের কাজ শুরু হতে এখনও দুই-আড়াই বছর বাকি। জেএনইউ, একাধিক আইআইটি কিংবা আইআইএম যখন তালিকায় স্থান পেল না, তখন কী ভাবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তালিকায় ঢুকল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। কোনও প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্যতম শর্ত ছিল, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫ বছরের পরিকল্পনা ও ৫ বছর ধরে তার রূপায়ণের বিস্তারিত বিবরণ জমা দিতে হবে। অভিযোগ এ-ও উঠেছে, গত বছর কেন্দ্রের প্রকাশিত জাতীয় তালিকাতেও স্থান ছিল না সার্চ ইঞ্জিন গুগ্‌ল-এ খুঁজে না পাওয়া ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ শুরু না করেই কী ভাবে জিয়ো ইন্সটিটিউট অব রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশন এক লাফে অন্যান্য প্রথিতযশা প্রতিষ্ঠানগুলিকে টপকে উৎকর্ষের তালিকায় ঢুকে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিপিআই নেতা ডি রাজা। বিতর্ক ওঠায় বেশি রাতে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, গ্রিনফিল্ড শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওই প্রতিষ্ঠানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। গ্রিনফিল্ড প্রতিষ্ঠানের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এগুলি হল নতুন বা প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান, যেগুলি এখনও কাজ শুরু করেনি, ভবিষ্যতে করবে। এ ধরনের ১১টি নতুন প্রতিষ্ঠান ওই বিভাগে আবেদন করেছিল। এদের ক্ষেত্রে চারটি বিষয় দেখা হয়েছে। এক, বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য পর্যাপ্ত জমির ব্যবস্থা, অর্থের জোগান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জুড়ে থাকা শিক্ষাবিদদের যোগ্যতা, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ধারণা। মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গ্রিনফিল্ড প্রতিষ্ঠানগুলিতে কী পড়ানো হবে, ক্যাম্পাসের বিস্তারিত নকশা, টাকার জোগান কোথা থেকে আসবে— সে সব বিষয়ের সম্পূর্ণ বিবরণ মন্ত্রকের কাছে জমা পড়েছে। তার ভিত্তিতেই বেছে নেওয়া হয়েছে জিয়ো-কে।

Advertisement

আরও পড়ুন: কাটল বুরহান-বার্ষিকী, স্বস্তিতে কেন্দ্র

এই শিরোপা মেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি আগামী পাঁচ বছরে হাজার কোটি টাকা অনুদান পাবে। মন্ত্রক জানিয়েছে, এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিশেষ কিছু সুবিধাও পাবে। যেমন, মোট পড়ুয়ার প্রায় ৩০ শতাংশ বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি এবং ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলি। ২০ শতাংশ বিষয় পড়া যাবে অনলাইনে। এ ছাড়া, ইজিসি-র অনুমোদন ছাড়াই বিদেশের ৫০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এরা হাত মেলাতে পারবে। পাশাপাশি, সিলেবাস নির্বাচন ও নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্তিতে বেশি স্বাধীনতা পাবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন