হাস্যময়ী: স্মৃতি ইরানি। ছবি: পিটিআই।
তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকে স্মৃতি ইরানিকে রেখে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে বস্ত্র মন্ত্রকের দায়িত্বও তাঁর কাছে রাখার সিদ্ধান্ত হল।
আগের বার মন্ত্রিসভার রদবদলের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত নানা বিতর্কের জেরে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল স্মৃতিকে। তাঁকেই আবার তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় উপরাষ্ট্রপতি ভোটের সময়ে বেঙ্কাইয়া নায়ডুর ইস্তফার পরে। এ বার মন্ত্রিসভার অন্য মন্ত্রীদের প্রায় সকলেরই ধারনা ছিল, রদবদলে স্মৃতির হাত থেকে বস্ত্র কিংবা তথ্যের কোনও একটা যাবেই। আর ঠোঁট কাটা বলে পরিচিত হওয়ায় তাঁকে তথ্য মন্ত্রক থেকে সরানোর যুক্তিই ছিল বেশি। কিন্তু আজ দেখা গেল, এখনও স্মৃতি মোদীর কাছে কতটা ভরসার।
আরও পড়ুন: এত আমলা! ক্ষোভ দলেই
মোদীর মন্ত্রিসভায় স্মৃতি ইরানির এতটা গুরুত্বের কারণ কী? প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বিজেপির এক শীর্ষস্থানীয় নেতার মতে, মোদীর ধারনা, স্মৃতি যোগ্য এবং দ্রুত কাজ সারেন। তাঁর টেবিলে ফাইল পড়ে থাকে না। সম্প্রতি সেন্সর বোর্ডে বিতর্কিত পহেলাজ নিহালনিকে সরিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রসূন জোশীকে নিয়ে আসা ও এই সংক্রান্ত যাবতীয় ঝঞ্ঝাট সামলে নিয়েছেন তিনি। তাঁর আগে বেঙ্কাইয়াও এটা করে দেখাতে পারেননি, তবে সফল হয়েছেন স্মৃতি। আবার, বস্ত্র মন্ত্রকের কাজের ক্ষেত্রেও সম্প্রতি গুজরাতে সফল আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী করে নজর কাড়তে পেরেছেন স্মৃতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও সেই অনুষ্ঠানে সামিল করতে সফল হয়েছেন তিনি। বিজেপির ওই নেতাটির দাবি— মোদী মনে করেন, তাঁর মন্ত্রিসভায় এতগুলি ভাষা জানা, নরমে-গরমে সংবাদ মাধ্যমকে সামলানোর মতো ব্যক্তিত্ব কমই রয়েছে। তথ্যমন্ত্রী হিসেবে স্মৃতি এখন থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের সংযোগকারী সেতু হবেন। তিনি নিজের প্রচারে অগ্রাধিকার দেবেন কম। সাধারণত যা ঘটে থাকে।