ছবি: পিটিআই।
রাহুল গান্ধীর ১৬ দিনের ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ বিহারে কংগ্রেসকে রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা শক্তি জুগিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার কবুল করেছিলেন এনডিএ শিবিরের নেতা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহা। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সমাজমাধ্যমে একটি বিতর্কিত পোস্ট ঘিরে বিজেপি, জেডিইউর পাশাপাশি সহযোগী আরজেডিরও সমালোচনার মুখে পড়ল কংগ্রেস।
কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে পোস্টটি করা হয়েছিল। সিগারেট, গুটখা, পানমশলার মতো তামাকজাত দ্রব্যকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ‘পাপের পণ্য’ বলে চিহ্নিত করে ৪০ শতাংশ কর (আদতে জিএসটি) আরোপ করলেও বিড়িকে কেন সেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হল, সে প্রশ্ন তোলা হয় ওই পোস্টে। লেখা হয়েছিল, ‘‘বিহার আর বিড়ি দুটোই শুরু হচ্ছে ‘বি’ দিয়ে। তাই নাকি এতে কোনও পাপ নেই।’’
রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দলের ইঙ্গিত ছিল, বিহারে আসন্ন বিধানসভা ভোটকে নজরে রেখেই বিড়ির উপর জিএসটি বসায়নি বিজেপি সরকার। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভি পোস্টটি শেয়ার করে প্রশ্ন তোলেন, কেন বিড়িতে ২৮ শতাংশ জিএসটি কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হল? ভোটের মুখে এই পদক্ষেপ বিহারকে তুষ্ট করার চেষ্টা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এর পরেই ‘ময়দানে’ নেমে পড়েন এনডিএ নেতৃত্ব।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধরি বলেন, ‘‘বিহারবাসীকে অপমান করেছে কংগ্রেস।’’ বিহারের আর এক বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের মন্তব্য, ‘‘বিহারবাসীকে অপমান করে কংগ্রেস মজা পায়।’’ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ট জেডিইউ নেতা সঞ্জয় কুমার ঝা সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘কংগ্রেসের আরও একটি লজ্জাজনক কাজ। ‘বি’ মানে কেবল বিড়ি নয়, এর অর্থ বুদ্ধিমত্তাও, যা আপনাদের নেই!’’ তিনি বলেন, ‘‘তেজস্বী যাদব তো এতদিন ধরে রাহুল গান্ধীর গাড়িতে চড়ে যাত্রা করছিলেন। এ বার তিনি জবাব দিন।’’ এই পরিস্থিতিতে বিহার আরজেডির মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি শুক্রবার বলেছেন, বিহারবাসীর কোনও অবমাননা আমরা মানব না। সেই সঙ্গে জিএসটি নিয়ে মোদী সরকার বিহারবাসীর সঙ্গে বঞ্চনা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।