বিতর্কিত পুলিশকর্তা ডি জি বানজারা। ছবি:টুইটার
সোহরাবুদ্দিন শেখের ‘এনকাউন্টার’ মামলায় বেকসুর খালাস হলেন গুজরাত পুলিশের প্রাক্তন ডিআইজি তথা রাজ্যের সবচেয়ে বিতর্কিত পুলিশকর্তা ডি জি বানজারা। মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছে। ডি জি বানজারার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই বলে জানাল আদালত। রাজস্থান ক্যাডারের আইপিএস অফিসার এম এন দীনেশকেও ওই একই মামলায় আদালত আজ বেকসুর খালাস করেছে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি এই মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
সমাজবিরোধী হিসেবে পরিচিত সোহরবুদ্দিন শেখ ২০০৫ সালে গুজরাতের রাজধানী গাঁধীনগরের কাছে খুন হয়। খুন হন সোহরাবুদ্দিনের স্ত্রী কওসর বাইও। গুজরাত পুলিশের অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড সোহরাবুদ্দিনদের খুন করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছিল, সোহরাবুদ্দিন বিপজ্জনক দুষ্কৃতী ছিল, গুজরাতের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সে খুন করার ছক কষেছিল, তার সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার যোগ ছিল।
আরও পড়ুন: দেশের তথ্য পাচারের অভিযোগ গিলানি অনুগামীর বিরুদ্ধে
সিবিআই এই ঘটনার তদন্তে নেমে জানায় যে গুজরাত পুলিশের অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড সোহরাবুদ্দিনের অপরহণ করে খুন করেছিল। বানাজারা এই খুনের অন্যতম চক্রী বলে সিবিআই জানায় এবং ২০০৭ সালে বানজারাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৪ সালে বানজারা জামিন পেয়েছিলেন বটে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত জানিয়ে দিল, বানজারা বেকসুর। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সিবিআই প্রমাণ করতে পারেনি বলে আদালত জানিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সুটকেস খুলতেই দেখা গেল তরুণীর মুন্ডুহীন দেহ!
শুধু সোহরাবুদ্দিন এবং তার স্ত্রীয়ের খুনেই কিন্তু থেমে যায়নি ঘটনাপ্রবাহ। সোহরবুদ্দিনের ঘনিষ্ঠ তুলসীরাম প্রজাপতিও ২০০৬ সালে খুন হয়ে যান। ডি জি বানজারার নাম ইশরত জাহানের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গেও জড়িত। তদন্তকারীদের দাবি, ইশরত জাহানের মৃত্যুও একটি ভুয়ো এনকাউন্টার।
সোহরাবুদ্দিন মামলা থেকে বেকসুর খালাস পাওয়ার পর বানজারা স্বাভাবিক ভাবেই খুশি। তিনি গুজরাত বিধানসভার আসন্ন নির্বাচনে লড়তে চান বলেও বানজারা জানিয়েছেন।