কাশ্মীরে জঙ্গি-বিরোধী অভিযান চলাকালীন গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত জওয়ান নবচন্দ্র সিংহের দেহ ফিরল লক্ষীপুরের সিঙ্গেরবন্দের বাড়িতে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
পরিজনরা জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলেও নবচন্দ্রের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল বাবা, মা, স্ত্রী, দেড় বছরের ছেলে সুমন্তের। পর দিনই সব কিছু পাল্টে যায়। কাশ্মীরে মোতায়েন ৩৫ রাষ্ট্রীয় রাইফেল রেজিমেন্ট থেকে ওই জওয়ানের বাড়িতে জানানো হয়, নবচন্দ্রবাবু দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়েছেন। আধঘণ্টা পর ফের ফোন আসে। তাতেই মেলে ওই জওয়ানের মৃত্যুসংবাদ। আজ গ্রামের বাড়িতে নবচন্দ্রের মৃতদেহ পৌঁছনোর আগেই আশপাশের এলাকার কয়েক হাজার মানুষ সেখানে জড়ো হন। এ দিন সকালে শিলচরের কুম্ভীরগ্রাম বিমানবন্দরে জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জগদীশ দাশ ওই জওয়ানকে শেষশ্রদ্ধা জানান। মৃতদেহ বাড়িতে পৌছলে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা গ্রাম। গ্রামেরই বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল গৌরকিশোর সিংহের নেতৃত্বে ‘গান স্যালুট’ দেয় সেনাবাহিনী। উপস্থিত ছিলেন রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন পীযূষ শর্মা, লেফটেন্যান্ট নন্দন সিংহ-সহ কাছাড় জেলা ও লক্ষীপুর মহকুমা প্রশাসনের আমলারা।
কাশ্মীর থেকে নবচন্দ্রের মৃতদেহ নিয়ে আসা নায়েক সুবেদার রঞ্জিৎ বড়ো জানান, কূপওয়াড়া জেলায় পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নবচন্দ্রদের গাড়ি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় দুই জওয়ান শহিদ হন। ২০০৪ সালে সিরাইলিলি হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। কাছাড় কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।