Greater Noida Dowry Murder Case

‘চোখের সামনে মাকে পুড়িয়ে মারল বাবা ও ঠাকুমা’! পুত্রের বয়ানে গ্রেটার নয়ডার মহিলার মৃত্যুর ভয়াবহতা

ঘটনার এক দিন পর মায়ের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলল পুত্র। সে জানায় কী ভাবে মাকে খুন করে তার বাবা এবং ঠাকুমা। কান্নাভেজা গলায় সে বলে, ‘‘ওরা প্রথমে মায়ের গায়ের উপর কিছু ঢেলে দেয়। তার পর লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৫ ২২:৪৩
Share:

গ্রেটার নয়ড়ায় মৃত মহিলা নিকি। ছবি: সংগৃহীত।

চোখের সামনে মাকে দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখেছে সে। সাহায্যের জন্য চিৎকার করেও লাভ হয়নি। শুধু তা-ই নয়, নিজের বাবাকে দেখেছে কী ভাবে তার মাকে পুড়িয়ে মারছে। মায়ের মৃত্যুর ভয়াবতা কাটিয়ে উঠতে পারিনি ছোট্ট ছেলেটি। সে জানে, তার মাকে পুড়িয়ে মেরেছেন বাবা এবং ঠাকুমাই!

Advertisement

গ্রেটার নয়ডার সিরসার বাসিন্দা বিপিন ভাটির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নিকি নামে এক যুবতীর। ন’বছর কাটে তাঁদের বৈবাহিক জীবন। তবে নিকির পরিবারের অভিযোগ, প্রায়ই দম্পতির মধ্যে যৌতুক নিয়ে ঝগড়া হত। বাপের বাড়ি থেকে আরও টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হত নিকিকে। কিন্তু ওই যুবতী রাজি না হওয়ায় মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে নিকির মৃত্যুর পর পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। তাদের কন্যাকে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ নিকির বাপের বাড়ির।

ঘটনার এক দিন পর নিকির মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলল তার ছোট্ট পুত্র। সে জানায় কী ভাবে মাকে খুন করে তার বাবা এবং ঠাকুমা। কান্নাভেজা গলায় সে বলে, ‘‘ওরা প্রথমে মায়ের গায়ের উপর কিছু ঢেলে দেয়। তার পর লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’’ যৌতুকের জন্যই খুন দাবি করেছেন নিকির দিদি কাঞ্চনও। তিনিও ওই পরিবারের বৌ। তাঁর দাবি, ৩৬ লক্ষ টাকা যৌতুক না পাওয়ায় চোখের সামনে নিকিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। কাঞ্চনের কথায়, ‘‘আমাকেও যৌতুকের জন্য মারধর করা হত। বলত, আমরা মরে গেলে আবার বিয়ে করবে।’’ বোনকে চোখের সামনে মরতে দেখেও কিছু করতে পারেননি কাঞ্চন। সেই আপসোস বার বার ফুটে উঠেছে তাঁর গলায়। তিনি চান, ‘‘বোনের খুনিদের কঠোর শাস্তি হোক।’’

Advertisement

সম্প্রতি, সমাজমাধ্যমে দু’টি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিয়োয় এক মহিলাকে নির্যাতনের ছবি দেখা গিয়েছে। প্রথম ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ওই মহিলাকে চুলের মুঠি ধরে সিঁড়ি দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নামাচ্ছেন তাঁর স্বামী এবং শাশুড়ি। পরের ভিডিয়োয় ওই মহিলাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গিয়েছে (যদিও এই ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। প্রতিবেশীরাই নিকিকে ওই অবস্থা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। তাঁর দিদির অভিযোগের ভিত্তিতে কাসনা থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন, নিকির স্বামী, ভাসুর, শ্বশুর এবং শাশুড়ি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নিকির স্বামীকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিরা পলাতক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement