—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মুম্বইয়ের লোকমান্য তিলক টার্মিনাস স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ট্রেনের শৌচাগার থেকে উদ্ধার পাঁচ বছরের শিশুর দেহ। কী ভাবে সেখানে ওই দেহ এল, তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ওই শিশুকে অপহরণের পর খুন করা হয়। তার পর ট্রেনের শৌচাগারের ডাস্টবিনে দেহ ফেলে দেয় কেউ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে কুশিনগর এক্সপ্রেসের একটি এসি কোচের শৌচাগারের ভিতর থেকে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে দেহটি দেখতে পান ট্রেন পরিষ্কার করতে আসা কর্মীরা। তাঁরাই আরপিএফ এবং জিআরপি-কে খবর দেন। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজাওয়াড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে গুজরাতের সুরতের আমরোলি থানায় এক শিশুর নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি হয়। অভিযোগ, তার কাকার পুত্রই শিশুটিকে অপহরণ করেছেন। পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্তের মোবাইলে নজরদারি শুরু করে। জানা যায়, অভিযুক্তের গতিবিধি মুম্বইয়ের দিকে লক্ষ্য করেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরে শনিবার ভোরে লোকমান্য তিলক টার্মিনাস স্টেশনে আসেন তাঁরা। খোঁজখবর নেওয়ার সময় তাঁদের ওই পাঁচ বছরের শিশুর দেহ উদ্ধারের খবর জানানো হয়। তদন্তকারীরা ওই শিশুর ছবি পাঠায় আমরোলি থানায়। নিখোঁজ হওয়া শিশুর পরিবার পরিচয় নিশ্চিত করেছে। পলাতক অভিযুক্ত।