গরাদের ফাঁকে আটকে গিয়েছে মাথা। ছবি: সংগৃহীত।
ছুটির পরে স্কুলের ভিতরে আটকে পড়েছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। জানলার লোহার গরাদের ভিতর দিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিল। তাতেই বিপত্তি! গরাদের ফাঁকে আটকে যায় মাথা। পরের দিন সকালে তাকে উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা। ছাত্রীর অবস্থা গুরুতর হলেও স্থিতিশীল। ওড়িশার কেওনঝর জেলার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়েছিল সাত বছরের শিশুটি। ছুটির পরে বাকি বাচ্চারা স্কুল থেকে বাড়ি চলে যায়। কিন্তু সেই ছাত্রী বেঞ্চে ঘুমিয়ে পড়েছিল। অভিযোগ, রক্ষী না দেখেই স্কুলের ফটক বন্ধ করে বেরিয়ে যান। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও কন্যা বাড়ি না ফেরায় তার পরিবার খুঁজতে বার হয়। গ্রামবাসীরাও স্থানীয় এলাকা খুঁজে দেখেন। কিন্তু শিশুটিকে কোথাও পাওয়া যায়নি।
ইতিমধ্যে শিশুটি স্কুলের জানলার গ্রিল ফাঁক করে বার হতে চেষ্টা করে। তখনই সেই ফাঁকে আটকে যায় তাঁর মাথা। গুরুতর জখম হয় সে। পরের দিন সকালে গ্রামবাসীরা স্কুলে পৌঁছে ছাত্রীকে ওই অবস্থায় দেখে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান তাঁরা। এর পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সে গুরুতর আহত হয়েছে।
এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা স্কুল কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁরা ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। রক্ষীর শাস্তির দাবি তুলেছেন। সঞ্জিতা নামে এক শিক্ষিকা বলেন, ‘‘মিড ডে মিলের রাঁধুনি সাধারণত স্কুল ছুটির পরে দরজা বন্ধ করেন। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হওয়ায় তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। বিকেল ৪টে ১০ নাগাদ স্কুলের দরজা বন্ধ করা হচ্ছিল। সে সময় সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রী পিছনের বেঞ্চে ঘুমিয়ে পড়েছিল। তাকে দেখতে পায়নি ছাত্রেরা।’’