(বাঁ দিকে) সোনম রাজবংশী এবং রাজ সিংহ কুশওয়াহা (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
রাজ সিংহ কুশওয়াহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সোনম রঘুবংশীর! গ্রেফতারির সপ্তাহ দুই পরে রাজা রঘুবংশীকে খুনের অভিযোগে ধৃত দুই মূল অভিযুক্ত নিজেদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন বলেই দাবি করল মেঘালয় পুলিশ! সন্দেহ আগেই ছিল, অবেশেষে স্বীকারোক্তি মিলল। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের নার্কো পরীক্ষার দাবি খারিজ করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, অভিযোগ প্রমাণ করার মতো প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রমাণ রয়েছে।
মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামী রাজাকে পরিকল্পনা করে খুন করার কথা সোনম আগেই স্বীকার করেছিলেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন রাজ। পুলিশের দাবি, দু’জনেই তাঁদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। তবে দু’জনের মধ্যে কী সম্পর্ক, তা নিয়ে এত দিন কেউই তাঁরা মুখ খোলেননি। পূর্ব খাসি পাহাড়ের পুলিশ সুপার বিবেক সিয়াম এই বিষয়ে বলেন, ‘‘তদন্তের সময় সোনম এবং রাজ, দু’জনেই নিজেদের সম্পর্কে থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। আমরা অপরাধস্থলে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছি। তবে তদন্তের এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে অভিযুক্তদের নার্কো পরীক্ষা করানোর কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না।’’
শুধু যে স্বীকারোক্তির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে, তা নয়। বরং অপরাধের সঙ্গে যুক্ত যাবতীয় প্রমাণ সংগ্রহ করার কাজও চলছে বলেই দাবি বিবেকের। তিনি জানান, এই মামলায় যত দ্রুত সম্ভব চার্জশিট জমা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। শুধু কি রাজের সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা সোনমের? বাড়ির অমতে রাজার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ? খুনের নেপথ্যে কারণ এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।
মেঘালয়ে রাজার খুনের ঘটনার পরই ঘুরপথে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুরে এসেছিলেন সোনম। সেখানে এক ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই ফ্ল্যাট থেকেই খুনের তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সেই ফ্ল্যাটের মালিক, ব্যবসায়ী সিলম জেমস এবং ফ্ল্যাটের নিরাপত্তারক্ষী বলবীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিন জনের বিরুদ্ধেই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে।