(বাঁ দিকে) সোনম রাজবংশী। (ডান দিকে) সোনমের স্বামী রাজা। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়েতে ১৬ লক্ষ টাকার গয়না পেয়েছিলেন সোনম রঘুবংশী। স্বামী রাজাকে খুনের অভিযোগে এখন জেলবন্দি সোনম। বিয়েতে পাওয়া তাঁর সেই গয়নাগুলিই রাজার পরিবারকে ফেরত দিলেন সোনমের দাদা গোবিন্দ রঘুবংশী।
তবে বিয়েতে সোনমের পরিবারের তরফে রাজাকে যে উপহার দেওয়া হয়েছিল, সেই উপহার যদি রাজা পরিবার ফেরত দিতেও চায়, তা নেবে না বলে জানিয়েছে সোনমের পরিবার। তাদের কথায়, ‘‘বিয়েতে আমরা যে উপহার রাজাকে দিয়েছিলাম, তা কোনও ভাবেই ফেরত নিতে চাই না। আমাদের মেয়েকে ওঁদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। এই উপহারকে কন্যাদান হিসাবেই দেওয়া হয়েছিল। ও সব এখন ফেরত নিয়ে আর কী হবে!’’
সোনমের দাদা গোবিন্দ বলেছেন, ‘‘আমরা মনে করি যে উপহার সোনমকে দেওয়া হয়েছিল, তা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। আর সে কারণেই রাজার পরিবারের হাতে ওই গয়না তুলে দিলাম।’’ সোনমের পরিবার সূত্রে খবর, মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার আগে ওই গয়নাগুলি বাপের বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন সোনম। সেখানে যাওয়ার সময় মঙ্গলসূত্র আর একটি আংটি নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। রাজা হত্যাকাণ্ডে তদন্তের স্বার্থে সেই দু’টি গয়না এখন শিলং পুলিশের হেফাজতে।
সরকারি আইনজীবী তুষার চন্দ্র জানিয়েছেন, রাজা হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তাঁর হলেন লোকেন্দ্র তোমর এবং নিরাপত্তারক্ষী বলবীর আহিরবার। শর্তসাপেক্ষে এই দু’জনকে জামিন দিয়েছে আদালত। ঘটনাচক্রে, রাজাকে খুনের পর ইনদওরে লোকেন্দ্রর ফ্ল্যাটে গিয়ে উঠেছিলেন সোনম। ফ্ল্যাটটি যে আবাসনের মধ্যে রয়েছে, সেই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী বলবীর। তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধে সোনমকে আশ্রয় দেওয়া এবং রাজা খুনের তথ্য লোপাটে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছিল।
গত ১১ মে রাজার বিয়ে হয়েছিল সোনমের সঙ্গে। ১৯ মে তাঁরা মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় যান। ২৩ মে নিখোঁজ হয়ে যান রাজা এবং সোনম। ২ জুন রাজার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে খুনের অভিযোগে ৯ জুন গ্রেফতার করা হয় সোনম, তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা, তিন ভাড়াটে খুন-সহ মোট ন’জনকে।