National News

‘নেহরু-গাঁধী পরিবারের বাইরের কেউ এক দিন দল চালাতে পারেন’

সনিয়া বলেন, ‘‘কেন নয়? এক দিন সেটা হতেই পারে। প্রশ্নটা করা উচিত কংগ্রেস কর্মীদের।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৮ ১৮:৩২
Share:

কংগ্রেসের পূর্বতন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। ছবি- সংগৃহীত।

এক দিন নেহরু ও গাঁধী পরিবারের বাইরের কেউ হয়ত কংগ্রেসের হাল ধরতে পারেন। দলের নেতৃত্ব দিতে পারেন।

Advertisement

এমনটাই মনে করেন সদ্য পুত্র রাহুলের হাতে দলের দায়িত্বভার তুলে দেওয়া কংগ্রেসের পূর্বতন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী

শুক্রবার দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ’-এ সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, নেহরু ও গাঁধী পরিবারের বাইরের কারও পক্ষে কি কোনও দিন কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব?

Advertisement

জবাবে সনিয়া বলেন, ‘‘কেন নয়? এক দিন সেটা হতেই পারে। প্রশ্নটা করা উচিত কংগ্রেস কর্মীদের।’’

আরও পড়ুন- পাকিস্তানের থেকে গণতন্ত্র শিখব না, রাষ্ট্রপুঞ্জে বলল ভারত​

আরও পড়ুন- সনিয়ার জোটবার্তা, তবে অধীর অনড়ই​

তিনি যে নিজেও ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চাননি, তা বোঝাতে সনিয়া মনে করিয়ে দেন, ২০০৪ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চাননি। মনমোহন সিংহকে বেছে নিয়েছিলেন। কারণ, মনে করেছিলেন, মনমোহন তাঁর চেয়ে যোগ্যতর। পরে অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে সনিয়া বলেছেন, ‘‘আমার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল।’’

তবে রাজনীতিতে বংশপরম্পরার উদাহরণ যে ভুরি ভুরি, সে কথাও মনে করিয়ে দিতে ভুলে যাননি কংগ্রেসের পূর্বতন সভানেত্রী। বলেছেন, ‘‘সেই দৃষ্টান্ত তো আমেরিকায় গড়েছে বুশ পরিবার (দুই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়র ও তাঁর পুত্র) আর ক্লিন্টন পরিবার (প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন ও তাঁর স্ত্রী হিলারি)। ভারতেরও বিভিন্ন রাজ্যে এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে প্রচুর।’’

তবে সনিয়ার বক্তব্য, নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কংগ্রেস বরাবরই গণতান্ত্রিক পথে হেঁটেছে।

নিজে কেন রাজি হয়েছিলেন কংগ্রেসের সভানেত্রী হতে?

সনিয়ার জবাব, ‘‘তখন অনেকেই কংগ্রেস ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। সেই সময় আমার মনে হয়েছিল, দলের জন্য কিছু করতে না পারলে আমার সাহসিকতার অভাবটাই ফুটে উঠবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন