জোটের অঙ্কে ময়দানে সনিয়া

আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে বিরোধী নেতাদের বৈঠকে ডেকেছেন সনিয়া। সেই বৈঠকেই মোদী-বিরোধী কৌশল রচনা করবেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী। কংগ্রেসের এক নেতা জানান, মোদী ইতিমধ্যেই ভোটের বাদ্যি বাজাতে শুরু করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৮
Share:

বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেই নরেন্দ্র মোদী যখন ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন, তখন বিরোধীদের একজোট করতে ফের আসরে নামলেন
সনিয়া গাঁধী।

Advertisement

আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে বিরোধী নেতাদের বৈঠকে ডেকেছেন সনিয়া। সেই বৈঠকেই মোদী-বিরোধী কৌশল রচনা করবেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী। কংগ্রেসের এক নেতা জানান, মোদী ইতিমধ্যেই ভোটের বাদ্যি বাজাতে শুরু করেছেন। রাষ্ট্রপতির বক্তৃতাও সাজিয়েছেন ভোটের কথা মাথায় রেখেই। এই অবস্থায় বিরোধীদের আরও কাছাকাছি আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা দরকার। সভাপতি হিসেবে রাহুল গাঁধী দল সামলাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী তিনিই। কিন্তু বিভিন্ন দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে সনিয়ার বহু দিনের সম্পর্ক। সে কারণেই বিরোধীদের একজোট করতে ফের সক্রিয় হয়েছেন ‘ম্যাডাম’।

গত সপ্তাহেই মুম্বইয়ে বিরোধী নেতাদের এক ছাতার তলায় এনে ‘সংবিধান বাঁচাও’ অভিযান করেছেন শরদ পওয়ার। তখনই স্থির হয়েছিল, অধিবেশনের প্রথম দিনে দিল্লিতে একটি ঘরোয়া বৈঠক হবে। আজ রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার পরে সেন্ট্রাল হলে রাহুলের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন পওয়ার। পরে সনিয়ার সঙ্গেও তাঁর কথা হয়। এর পরেই বিকেলে পওয়ারের বাড়িতে বিরোধীদের একটি বৈঠক হয়। সেখানে কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, বিক্ষুব্ধ জেডিইউ নেতা শরদ যাদব, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, সিপিআইয়ের ডি রাজা, সিপিএমের টি কে রঙ্গরাজন উপস্থিত ছিলেন। তবে এই বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল।

Advertisement

আরও পড়ুন: পওয়ারের জোটে এখনই নয় তৃণমূল

বৈঠক শেষে পওয়ারের দলের নেতা প্রফুল্ল পটেল বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক বিষয়গুলি নিয়ে সংসদে বিরোধীরা কী করে এক সুরে কথা বলতে পারেন, তা নিয়েই আজ কথা হয়েছে। ভোট যত এগোবে, বিরোধীরা তত একজোট হবেন। আগামী সপ্তাহে সনিয়া গাঁধীর বৈঠকেই তার সূচনা হবে। সেখানেই এক সঙ্গে ভোট করা থেকে বিচারব্যবস্থা নিয়ে বিরোধীদের অবস্থান— সব স্থির হবে।’’

তবে কংগ্রেসের এক সূত্রের বক্তব্য, পওয়ার বিরোধীদের একজোট করতে চাইলেও তাঁর নেতৃত্বে তেমন ভরসা নেই। মোদীর সঙ্গেও একই ভাবে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখেন তিনি। সে কারণে বিরোধী দলের নেতৃত্ব কংগ্রেসের হাতেই থাকা উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন