লালু-নীতীশের ডাকে পটনায় আজ সনিয়া

লালু প্রসাদ-নীতীশ কুমারের ডাকা যৌথ সমাবেশে যোগ দিতে কাল পটনা যাচ্ছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। কংগ্রেস সূত্র আগে জানিয়েছিল, সনিয়া গাঁধী সম্ভবত ওই সমাবেশে যোগ দেবেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি ও পটনা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৫ ০৩:২৮
Share:

লালু প্রসাদ-নীতীশ কুমারের ডাকা যৌথ সমাবেশে যোগ দিতে কাল পটনা যাচ্ছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। কংগ্রেস সূত্র আগে জানিয়েছিল, সনিয়া গাঁধী সম্ভবত ওই সমাবেশে যোগ দেবেন না। রাহুলেরও যাওয়ার প্রশ্ন নেই। কারণ সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য রাহুলকে নিমন্ত্রণই জানানো হয়নি।

Advertisement

কিন্তু শেষ পর্যন্ত লালু-নীতীশের অনুরোধে সিদ্ধান্ত বদল করেন সনিয়া। বিহারের এক কংগ্রেস নেতার কথায়, দিল্লির নেতারা বরাবরই ভুল পরামর্শ দেন হাইকম্যান্ডকে। কারণ প্রত্যেকে নিজের নিজের স্বার্থ দেখেন। কিন্তু বিহারে লালু-নীতীশ-কংগ্রেস জোট হওয়ার পর প্রথম সভাতেই যদি সনিয়া অনুপস্থিত থাকেন তাহলে নেতিবাচক বার্তা যাবে। বিরোধীরা বোঝাবে, জোটের ভোট সম্ভাবনা নিয়ে সনিয়া খুব একটা আশাবাদী নন। সেই কারণেই নিজেকে বেশি জড়াতে চাইছেন না। এতে কংগ্রেসের বিশেষ ক্ষতি হবে না। কারণ বিহারে কংগ্রেসের কার্যত কিছুই অবশিষ্ট নেই। কিন্তু লালু-নীতীশ জোটের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।

আগামী পরশু ভাগলপুরে নরেন্দ্র মোদীর সভা। তার আগে কোনও ভাবেই কালকের সভা নিয়ে ভুল বার্তা যেতে দিতে চান না নীতীশ কুমাররা। কংগ্রেস সূত্র জানাচ্ছে, লালু ও নীতীশ উভয়েই পৃথক ভাবে কথা বলে সনিয়াকে কাল পটনার সভায় হাজির থাকার ব্যাপারে রাজি করান।

Advertisement

এ দিকে, আজ নিজের ভাগ থেকে দু’টি আসন সমাজবাদী পার্টির জন্য ছেড়ে দিলেন লালুপ্রসাদ। পাশাপাশি, জোট শরিকদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, ‘‘ছোট ছোট বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে লড়াই করা বন্ধ করুন।’’ বিহারের নির্বাচন শুধু রাজ্যের নয়, দেশের কাছেও এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন আরজেডি প্রধান। উল্লেখ্য, মুলায়মের নাতির সঙ্গে লালুর ছোট মেয়ের বিয়ে হয়েছে। জনতা জোটের আসন সমঝোতার দিনই লালু সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘সম্বন্ধী’ মুলায়মের দলকে যা আসন দেওয়ার তিনি নিজের ভাগ থেকেই দেবেন। লালুর কথায়, ‘‘এটা দেশের শেষ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ঠিক হবে দেশ স্বৈরতন্ত্রের পথে যাবে, না গণতন্ত্রের পথে।’’

এরই মধ্যে এ দিন আরজেডি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন বরুরাজ কেন্দ্রের বিধায়ক ব্রজকিশোর সিংহ। তিনি ছাড়াও জেডিইউয়ের দুই বিধায়ক সুনীল কুমার এবং রেনু কুশওয়হা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। রাজ্য বিজেপি সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডের উপস্থিতিতে বিজেপি দফতরে তাঁদের প্রাথমিক সদস্যপদ প্রদান করা হয়। তিন নেতাই নিজদের দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ৩১ অগস্ট এনডিএ নেতারা আসন বন্টন নিয়ে বৈঠকে বসবেন। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই আসন বন্টন প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন