Murder

উত্তরপ্রদেশে বাড়িতে ঢুকে গুলিবৃষ্টি! স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে মৃত্যু এসপি নেতার, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন

চার দুষ্কৃতী এসে গুলি চালায়। বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান এসপি নেতা রাকেশ গুপ্ত। মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রী সারদা এবং মা শান্তি দেবীর। এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৩৩
Share:

— প্রতীকী ছবি।

উত্তরপ্রদেশে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। সোমবার বদাইয়ু জেলায় এক সমাজবাদী পার্টির নেতার বাড়িতে ঢুকে হত্যালীলা চালাল দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু এসপি নেতা রাকেশ গুপ্তের। একই সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন রাকেশের স্ত্রী এবং মা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বদাঁইয়ুর সাথারা গ্রামে সমাজবাদী পার্টির নেতা রাকেশের বাড়িতে ঢোকার দুটি দরজা। চার জন দুষ্কৃতী দুটি বাইকে করে তাঁর বাড়ির সামনে আসে। অভিযোগ, সামনের দরজা দিয়ে বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাকেশের। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান তাঁর স্ত্রী সারদা দেবী এবং মা শান্তি দেবী। বাড়ির তিন জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে পিছনের দরজা দিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বর্তমানে এসপির জেলা পঞ্চায়েত সদস্য রাকেশ এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। আগে তিনি ব্লক সভাপতির দায়িত্বও দীর্ঘ দিন পালন করেছেন। এই ঘটনায় রাজ্যের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে এসপি। অখিলেশের দলের প্রাক্তন সাংসদ তথা এলাকারই অন্যতম নেতা ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন, ‘‘রাকেশের ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে গেল রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা ঠিক কী। আমরা দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’

Advertisement

এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত বিবাদের জেরেই কি এই ঘটনা, রাকেশের অনুগামীরা এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। তাঁদের একাংশের দাবি, রাজনীতির খেলাতেই এ ভাবে চলে যেতে হল রাকেশকে। আদিত্যনাথের আমলে উত্তরপ্রদশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারেই ভেঙে পড়েছে বলেই মনে করে সমাজবাদী পার্টি। বিজেপির মদতেই রাজ্য জুড়ে হত্যার কারবার চলছে বলেও অভিযোগ এসপির। যদিও এ বিষয়ে বিজেপির প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সুপার অমিতকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘রাকেশ গুপ্ত, তাঁর মা ও স্ত্রীর খুনের ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে। খুব দ্রুত আমরা আততায়ীদের ধরে ফেলতে পারব।’’ গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন