জ়ুবিন গর্গ। —ফাইল চিত্র।
জ়ুবিন গর্গের মৃত্যুর তদন্তে তৈরি বিশেষ দল বা সিট গায়কের সঙ্গী বাদ্যযন্ত্রী শেখরজ্যোতি গোস্বামীকে গ্রেফতার করল। জ়ুবিনের দেহের সঙ্গে রাজ্যে ফিরে শেখর জানিয়েছিলেন, সিঙ্গাপুরে জল থেকে তিনিই জ়ুবিনকে তোলেন। সে সময় জ়ুবিনের কেমন অবস্থা ছিল, তা তিনিই সকলকে জানান। ‘উত্তর–পূর্ব ভারত উৎসব’-এর আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত এবং জ়ুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মার বাড়িতেও যায় এসআইটি। দু’জনের বাড়িতে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। ধীরেনপাড়ায় সিদ্ধার্থের বাড়ির বাইরে গোলমালে বেশ কয়েক জন জখম হন। হামলা হয় সিটের গাড়িতেও। হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে সমাজমাধ্যম-প্রভাবী ভিক্টর দাস ও অজয় ফুকনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জ়ুবিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি এখনও সিদ্ধার্থের কাছেই রয়েছে। জ়ুবিনের অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিস তাঁর সফরসঙ্গী খুড়তুতো ভাই তথা ডিএসপি সন্দীপন গর্গ পরিবারের হাতে তুলে দেন। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, জ়ুবিনের শেষ ছবি ‘রৈ রৈ বিনালে’ গায়কের ইচ্ছানুযায়ী ৩১ অক্টোবরেই মুক্তি পাবে। জ়ুবিনের গান ও অভিনয় শেষ হলেও ডাবিংয়ের কাজ বাকি ছিল।
বিরোধী কংগ্রেস, অজাপ, রাইজ়র দল ঘটনার সিবিআই তদন্ত ও ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বিচারের দাবি তুলেছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, ‘‘এসআইটিকে কিছুটা সময় দিন। তাদের তদন্তে জনতা সন্তুষ্ট না হলে আমরা তদন্তভার সিবিআইকে দেব।’’ হিমন্ত শ্যামকানুর সমালোচনা করে বলেন, ‘‘জ়ুবিনকে শ্যামকানু ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছেন।’’ এ দিকে শ্যামকানু আজ গোপন স্থান থেকে ভিডিয়ো বার্তায় জানান, গুয়াহাটি এলেই তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে বলে হাজার হাজার হুমকি আসছে। কিন্তু তিনি ওই ঘটনায় কোনও ভাবে জড়িত ছিলেন না। তিনি অসমবাসীর কাছে ন্যায় ও আদালতের কাছে সুরক্ষা চান। এ দিকে আজ আরও এক জন জ়ুবিন অনুরাগীর মৃত্যু হয়েছে। জালুকবাড়ির শরাইঘাট সেতু থেকে “জয় জ়ুবিনদা” বলে চিৎকার করে এক যুবক জলে ঝাঁপ দেন।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে