সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন। ছবি: সংগৃহীত।
ইন্ডিয়া মঞ্চের দ্বিতীয় ইনিংস কি নতুন উদ্যমে শুরু হল নতুন ঠিকানা থেকে! রাজনৈতিক মহলে উঠে এল এই প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার রাতে পঁচিশটি দলের জনা পঞ্চাশেক বিরোধী নেতা ৫ সুনেহরি বাগে রাহুল গান্ধীর নৈশভোজে আমন্ত্রিত হলেন। সেখানে ছিলেন সনিয়া গান্ধীও। দশ জনপথের বিরোধী নেতাদের জমায়েত এবং কৌশল রচনা শুরু হয়েছিলে একুশ বছর আগে ইউপিএ সরকার (প্রথম দফার) গঠনের সময়। সেই ট্রাডিশন সমানে চলেছে গত লোকসভার প্রস্তুতিপর্ব, ইন্ডিয়া মঞ্চ গঠন পর্যন্ত। তুঘলক রোডের বাংলো ছেড়ে দিতে হওয়ায় রাহুল তখন থাকছিলেন ছিলেন তাঁর মা সনিয়ার বাসভবন দশ জনপথেই।
বিহার নির্বাচনের আগে ভোট-চুরি নিয়ে লড়াইয়ের কৌশল রচনা দিয়ে শুরু হল সুনেহরি বাগের যাত্রা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার দলনেতা হিসেবেবিরোধী জোটের শীর্ষ বৈঠকে এই প্রথম। পৌঁছে শরদ পওয়ারের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন তিনি, সনিয়া-সহ অন্য নেতারা অভিনন্দন জানান তাঁকে নতুন দায়িত্ব পাওয়ার জন্য। উপস্থিতকমল হাসান এবং এম এ বেবীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এই দীর্ঘ সময়ে জোটের যোগবিয়োগও ঘটেছে অনেক। নেই সীতারাম ইয়েচুরি, শিবু সোরেন। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক এম এ বেবী এই প্রথম ইন্ডিয়া মঞ্চের এইনৈশাহার বৈঠকে। সস্ত্রীক এসেছিলেন অখিলেশ যাদব, উদ্ধব ঠাকরেরা। জমজমাট আড্ডা বসে কানিমোঝি, সুপ্রিয়া সুলে, ডিম্পল যাদব, রশ্মি ঠাকরদের মধ্যে।
অভিষেকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় রাহুলকে। অভ্যাগতদের মধ্যে যাঁরা সবচেয়ে শেষে বেরিয়েছেন সুনেহরি বাগের বাংলো থেকে তাঁদের মধ্যেছিলেন অভিষেকও। একই টেবিলে পাশাপাশি বসে খান তাঁরা। কাবাব, তন্দুরি-সহ ধাবা ঘরানার খাবার নিয়ে আসার সময়ে পরিবেশনকারীদের রাহুল রসিকতার সঙ্গে সতর্ক করে দেন, এই টেবিল কিন্তু পুরোপুরি আমিশাষী। রাহুলের বক্তব্য,ভারতের ৭০ শতাংশ মানুষ আমিশাষী। উল্লেখ্য, ওই টেবিলে রাহুল অভিষেক ছাড়াও ছিলেন মেহবুবা মুফতি, কানিমোঝিরা। খেতে খেতেই উঠে আসে নিজেকে সুস্থ ও তরতাজা রাখার প্রসঙ্গ। তেজস্বী এবং ডেরেকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, এখনও তৃণমূল নেত্রী নিয়মিত অনেকটা হাঁটেন।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে