করিমগঞ্জ জেলা বিজেপি সভাপতির নাম ৪-৫ দিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে। জেলা সভাপতি পদ নিয়ে বিজেপির গোষ্ঠী রাজনীতি এখন চরমে।
বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসেও জেলা সভাপতি বদল নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, জেলা কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি কেতকীপ্রসাদ দত্তের শরীর ভাল নয়। তাই তাঁকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রাক্তন জেলা সভাপতি সতু রায়কে ফের ওই দায়িত্ব দেওয়ার দাবি উঠেছে দলের একাংশে। ওই নেতাদের বক্তব্য, বর্তমান সভাপতির শরীর ভাল না থাকায় দলের কাজ করতে কিছুটা হলেও সমস্যা হচ্ছে। ২০১৭ সালে অসমে পঞ্চায়েত নির্বাচন।
সে দিকে তাকিয়েই সতুবাবুকে ফের সভাপতির আসনে বসাতে চাইছেন তাঁরা। করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস সভাপতি পদে উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের নামও উঠে এসেছিল। কিন্তু তা নিজেই উড়িয়ে দেন কমলাক্ষবাবু। তিনি বলেন, ‘‘করিমগঞ্জ জেলার ২ বিধায়ক চান সতুবাবুই ফের জেলা সভাপতির পদের দায়িত্ব নিক। জেলা সভাপতি হওয়ার বয়স আমার এখনও হয়নি।’’
অন্য দিকে বরাক উপত্যকায় কংগ্রেসের খারাপ ফলের কারণ অনুসন্ধানে ২৪ অগস্ট কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদল উপত্যকায় আসছে। তাঁরা বরাকের ৩ জেলার সাংগঠনিক পরিস্থি্তি খতিয়ে দেখবেন। ২৫ অগস্ট তাঁরা করিমগঞ্জে আসবেন। দলীয় সূত্রে খবর, ওই প্রতিনিধিদলে থাকবেন রিপুন বরা, দেবব্রত শইকিয়া, রকিবুল হুসেন, গৌতম রায়, সাংসদ সুস্মিতা দেব। তাঁরা করিমগঞ্জে জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহে দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তাঁদের সফরের আগেই শুরু হয়েছে জেলা কংগ্রেস সভাপতি ূদল নিয়ে তৎপরতা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, শুধু সতুবাবুই নয়, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আব্দুল মুক্তাধির চৌধুরীও জেলা সভাপতি পদের দায়িত্ব পেতে ইচ্ছুক। দলের অন্দরমহলের খবর, বিভিন্ন মণ্ডল কংগ্রেস সভাপতিদের ফোন করে তিনি নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।