ভাইরাল ভিডিওতে শম্ভুলাল নামে এই ব্যক্তিকেই খুন করতে দেখা গিয়েছে।
রাজস্থানে ‘লাভ জেহাদ’ বিদ্বেষের শিকার মালদহের আফরাজুল খানের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার, টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে মন্ত্রী এবং সাংসদদের পাঠানো হচ্ছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই রাজস্থানে শ্রমিকের কাজ করতেন মালদহের সৈয়দপুরের শেখপাড়া গ্রামের বছর পঞ্চাশের বাসিন্দা আফরাজুল। বৃহস্পতিবার সকালে এক নির্জন এলাকায় তাঁর কোপানো এবং দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরে সোস্যাল মিডিয়ায় পাওয়ায় যায় সেই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ভিডিও। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, লাল জামা পড়া এক ব্যক্তি নির্মম ভাবে কুপিয়ে, জ্যান্ত পুড়িয়ে খুন করছে তাঁকে। ওই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের গোটাটাই ভিডিও করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। নির্মম ওই হত্যাকাণ্ড দেখে শিউরে ওঠে গোটা দেশ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন, ‘‘রাজস্থানের ওই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মালদহের আফরাজুলকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর পরিবার এখন অসহায়। সরকারের পক্ষ থেকে নিহত আফরাজুলের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।’’ পরিবারের যোগ্য কাউকে চাকরি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
ভিন্ন ধর্মে বিয়ে করলেই স্ত্রীর ধর্ম বদলায় না: সুপ্রিম কোর্ট
২৫শে মা ও স্ত্রী দেখা করবেন জেলবন্দি কূলভূষণের সঙ্গে
‘লাভ জেহাদ শাসন’, পদ্মাবতী বিতর্ক থেকে শুরু করে গোরক্ষকদের তাণ্ডব, বারেবারেই কট্টরপন্থীদের তাণ্ডবে কাঠগড়ায় উঠছে রাজস্থানের নাম।
আফরাজুলের অপরাধ কী? ভিডিওতে হত্যাকারীকে বীরদর্পে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘এ দেশে জেহাদের এই শাস্তি।’’ মূল হত্যাকারী শম্ভুলালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আফরাজুলের বাড়ি কালিয়াচক-১ ব্লকের জালুয়াবাথাল পঞ্চায়েতের সৈয়দপুর শেখপাড়া গ্রামে। বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী গুলবাহার বিবি ও তিন মেয়ে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কুড়ি আগে শ্রমিকের কাজ নিয়ে রাজস্থানে যান আফরাজুল। যদিও, তাঁর পরিবার এই ‘লাভ জেহাদ’-এর তত্ত্ব মানতে রাজি নয়। তাঁদের ধারণা, ঠিকাদারি সংক্রান্ত কোনও বচসার কারণেই খুন হতে হয়েছে তাঁকে।