কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষীদের নিশানা করে ঢিল ছোড়ার ঘটনাকে পাকিস্তানের নতুন চক্রান্ত হিসেবে তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
দু’মাস ধরে উপত্যকায় অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে। কী কারণে এই সব ঘটনা ঘটছে, আজ জম্মুতে বিজেপির তেরঙ্গা যাত্রা-য় যোগ দিয়ে তার ব্যাখ্যা হাজির করেছেন জেটলি। তাঁর মতে, দু’টি যুদ্ধে ভারতের কাছে হারের পর পাকিস্তান বুঝতে পেরেছে যুদ্ধ করে কাশ্মীর ছিনিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই উপত্যকায় অশান্তির সৃষ্টি করতে চায় তারা। জেটলির মতে, এ জন্যই সীমান্তপার থেকে কাশ্মীরে উগ্রপন্থা ছড়াতে চেয়েছে ইসলামাবাদ। কিন্তু ভারত যখন জঙ্গিদের মোকাবিলাতে নিরন্তর সফল হয়েছে, তখনই উপত্যকায় অস্থিরতা সৃষ্টির নতুন কৌশল নিয়েছে পাকিস্তান। আর সেটা হল নির্বিচারে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ করে ঢিল ছোড়া। জেটলির দাবি, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ‘‘পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীদের নিশানা করতে স্কুল পড়ুয়াদের ব্যাগে বইয়ের বদলে ঢিল ভরে দেওয়া হচ্ছে।’’
তবে মোদী সরকারের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীর ক্ষোভ, ইসলামাবাদের এই চক্রান্তের পরেও কিছু মানুষ বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার হওয়া নিয়েই চিন্তিত, হাসপাতালে শুয়ে থাকা সিআরপিএফ, পুলিশের কর্মীদের দুর্দশার কথা তাঁদের মনে আসছে না। জেটলির মন্তব্য, ‘‘যারা পাথর ছুড়ছে, তারা সত্যাগ্রহী নয়, আগ্রাসনকারী।’’
উপত্যকায় অস্থিরতার জন্য জেটলি যখন পাকিস্তানকে নিশানা করছেন, তখন জঙ্গি কার্যকলাপ আটকাতেও সফল হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কুপওয়ারায় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে তিন লস্কর জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এরা ১৯ অগস্ট কুপওয়ারার তাংধার এলাকায় বিএসএফ চৌকিতে হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল। জঙ্গিদের থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এ দিন নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষেও এক জনের মৃত্যু হয়েছে
এ দিকে, কাশ্মীর পরিস্থিতিকে ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়ে জেটলি দাবি করেছেন, সরকার উপত্যকার নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমঝোতা করবে না। তিনি জানান, কাশ্মীরে সরকার ত্রিমুখী নীতিতে এগোবে। এক, সন্ত্রাসের সঙ্গে আপস করা নয়। দুই, রাজ্যের উন্নয়ন। তিন, জম্মুর উন্নতিতে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।