ছাত্রীর সঙ্গে কলেজ শিক্ষকের অমানবিক আচরণের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মহিলা আন্দোলনকারীর গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠল করিমগঞ্জ সদর থানার ওসির বিরুদ্ধে। ওসির কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার বিষ্ণুপ্রসাদ রাভার কাছে অভিযোগ জানাল।
টিউশন ফি না দেওয়ায় ছাত্রীর ছবি দিয়ে তার নীচে চোর লিখে নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন রবীন্দ্র সদন মহিলা কলেজের শিক্ষক কিশলয় চক্রবর্তী। তাঁর এই কাজের ফলে গৃহবন্দি কলেজ ছাত্রী। এই খবর প্রকাশিত হওয়ায় আজ আন্দোলনে নামে এবিভিপি। ছাত্র সংগঠনের কিছু সদস্য কিশলয়বাবুর ইউ সি দত্ত লেনের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। কিন্তু এবিভিপি-র আন্দোলনের খবর আগে জানতে পেরে নিজের কলেজের একদল ছাত্রকে বাড়িতে এনে রাখেন ওই শিক্ষক। এবিভিপি সদস্যরা যখন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল, সেই সময় ভিতর থেকে পাল্টা জিন্দাবাদ ধ্বনি দিতে থাকে ওই ছাত্ররা।
দু’পক্ষের স্লোগানে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর শিক্ষক পুলিশে খবর দেন। এবিভিপি সদস্যদের অভিযোগ, সদর থানার ওসি ডিম্বেশ্বর ঠাকুরিয়া এক আন্দোলনকারী ছাত্রীর শরীরে ধাক্কা দেন। পরে আন্দোলনকারীরা ওসি-র বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।