স্কুলের ছাদ থেকে ঝাঁপ অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দিল্লি, মধ্যপ্রদেশের পর এ বার মহারাষ্ট্র! স্কুলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের জালনায় ঘটনাটি ঘটেছে। মেয়ের মৃত্যুতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে দুষেছেন বাবা। তাঁর দাবি, শিক্ষকদের নিগ্রহের জেরেই এমন পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে মেয়ে।
মৃত ছাত্রীর নাম আরোহী বিদলান। শুক্রবার সকালে ১৩ বছর বয়সি ওই ছাত্রী তার স্কুলের তিনতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। জালনার মাস্তগাদের বাসিন্দা আরোহী একটি বেসরকারি স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষকেরা মেয়েকে প্রায়ই ‘অত্যাচার’ করতেন। তাঁর কথায়, ‘‘শুক্রবার স্কুল থেকে ফোন পাই যে মেয়ে ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে।’’ যদিও বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরনোর সময়েও ওই কিশোরীর মধ্যে অসুস্থতা কিংবা মানসিক চাপের কোনও লক্ষণ ছিল না বলে দাবি পরিবারের।
ছাত্রীর বাবার কথায়, ‘‘খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে যাই। তত ক্ষণে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ডাক্তারেরা বলেন, ওর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুব কম। সেখান থেকে মেয়েকে সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মারা যায় ও।’’ অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। সদর বাজার পুলিশের ইন্সপেক্টর সন্দীপ ভারতী জানিয়েছেন, আত্মহত্যার কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দিল্লির একটি নামী স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া শৌর্য পাটিল চলন্ত মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। সুইসাইড নোটে চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে যায় সে। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা দায়ের করেছেন মৃত ছাত্রের বাবা। চার শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার দিন কয়েক আগেই মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধর এবং হেনস্থার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হয়েছে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। সেই দুই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনা ঘটল।