Student fakes own kidnapping

হয়নি হোমওয়ার্ক, বকুনি খাওয়া থেকে বাঁচতে ভুয়ো অপহরণের নাটক অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ার, হুলস্থুল

পড়ুয়া বাড়ি ফিরে বলে, তাকে দু’জন মাস্ক পরিহিত ব্যক্তি কিছু একটা শুঁকিয়ে অজ্ঞান করে অপহরণ করেছিল। রাস্তায় তার জ্ঞান ফেরে। তার পর সে অপহরণকারীদের হাত ফস্কে পালিয়ে আসে বাড়িতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

বিলাসপুর শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৩ ০৯:৫৪
Share:

— প্রতীকী ছবি।

বর্ষার ছুটির পর স্কুল খুলে গিয়েছে। কিন্তু হয়নি হোমওয়ার্ক। অবশ্যম্ভাবী বকুনির হাত থেকে বাঁচতে অপহরণের গল্প ফেঁদে ধরা পড়ল এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। পুলিশ অপহরণের তদন্তে নেমে খতিয়ে দেখতেই জাড়িজুড়ি ফাঁস। পুলিশের জেরার মুখে ভেঙে পড়ে পড়ুয়া নিজেও কবুল করে দোষের কথা।

Advertisement

হিমাচলের বিলাসপুরে বর্ষার ছুটির পর স্কুল খুলেছে গত ৩১ জুলাই। কিন্তু ছুটির সময় যে হোমওয়ার্ক দেওয়া হয়েছিল, তা করা হয়ে ওঠেনি অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র। অতএব, বকুনি অবধারিত। অনেক ভেবে পড়ুয়া ঠিক করে অপহরণের গল্প ফেঁদে বকুনি থেকে বাঁচতে হবে। যেমন ভাবা, তেমন কাজ।

পড়ুয়া বাড়িতে ফিরে বলে, তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। সে জানায়, দুই ব্যক্তি মাস্কে মুখ ঢেকে তাকে কিছু একটা শুঁকতে দেন। তা শুঁকতেই সংজ্ঞা হারায় পড়ুয়া। তার পর তাকে একটি বাইকে বসিয়ে কোথাও একটা নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেন অপহরণকারীরা। পড়ুয়া দাবি করে, তত ক্ষণে জ্ঞান ফিরে এসেছে তার। কিন্তু রাস্তায় ট্রাফিকের কারণে এক জায়গায় বাইক থামতেই পড়ুয়া অপহরণকারীদের হাত ফস্কে পালিয়ে যায়।

Advertisement

মা, বাবা এ কথা শুনে ভয় পেয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমেই খতিয়ে দেখে এলাকার সিসিটিভি। পড়ুয়া যে এলাকায় অপহরণের কথা জানিয়েছে, সেই এলাকারও সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ দেখতে পায়, অপহরণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। সন্দেহ তৈরি হয় পুলিশের মনে। পড়ুয়াকে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। পুলিশি জেরার শুরুতেই ভেঙে পড়ে সে কবুল করে, গোটাটাই তার মস্তিষ্কপ্রসূত। হোমওয়ার্ক না করায় বকুনি খাওয়া থেকে বাঁচতেই সে এমন গল্প ফেঁদেছিল। কিন্তু এ ভাবে ধরা পড়ে যাবে, তা ভাবতে পারেনি পড়ুয়া। বর্ষার ছুটির পর গত ৩১ জুলাই হিমাচল প্রদেশে স্কুল খুলেছে। তার পরেই এই ঘটনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন