অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ
স্কুলের সহপাঠীর সঙ্গে প্রেম। কিন্তু আপত্তি স্কুলের। দু’জনের সম্পর্ক ভাঙতে টিচার্স রুমেই রাখি পরানোর ‘শাস্তি’ দিয়ে শিক্ষা দিতে গিয়েছিলেন প্রিন্সিপাল। কিন্তু ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা। স্কুল ভবনের তিন তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল বছর আঠেরোর ওই পড়ুয়া। প্রাণে বেঁচে গেলেও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে। সোমবার ত্রিপুরার আগরতলার একটি বেসরকারি স্কুলের এই ঘটনায় প্রতিবাদে স্কুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়া ও অভিভাবকরা।
আগরতলা শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র দিলীপকুমার সাহা। ক্লাসেরই বান্ধবীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তার। দু’জনের সম্পর্কের কথা জেনে যান স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। নিষেধ করা সত্ত্বেও কেউ সম্পর্ক ভাঙতে রাজি হয়নি। কিন্তু প্রিন্সিপালও নাছোড়। সুযোগ খুঁজছিলেন। তার মধ্যেই এসে যায় রাখি উৎসব।
সোমবার স্কুলের টিচার্স রুমে ডাকা হয় দিলীপ ও তার প্রেমিকাকে। ডেকে পাঠানো হয়েছিল ছাত্রীর বাবা মাকেও। এ বার ওই ছাত্রীকে প্রিন্সিপালের নির্দেশ, ভরা টিচার্স রুমে সবার সামনেই রাখি পরাতে হবে দিলীপকে। কিন্তু ওই ছাত্রী যেমন রাখি বাঁধতে রাজি ছিল না, তেমনই দিলীপও রাখি পরতে চায়নি।
আরও পডু়ন: ছাত্রমঞ্চ ছেড়ে গেলেন সুরেন্দ্রনাথের অধ্যক্ষ
এর পরই ঘটে যায় মারাত্মক ঘটনা। টিচার্স রুম থেকে বেরিয়ে দিলীপ সোজা উঠে যায় স্কুল ভবনের তিন তলায়। সেখান থেকেই ঝাঁপ দেয় নীচে। সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে হুলস্থুল পড়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিলীপকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: স্কুল ছাত্রীর পথ আটকে শ্লীলতাহানি, হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিয়ো ছড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। তার পরই জোট বেঁধে স্কুলে জড়ো হন অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা। প্রিন্সিপাল-সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)