Scholarship

বৃত্তি না-পেয়ে আত্মঘাতী ছাত্রী

হায়দরাবাদের বাড়ি থেকে মেলা তরুণীর সুইসাইড নোটে লেখা, “আমাকে পড়াতে গিয়ে বিপুল খরচের বোঝা বইছে আমার পরিবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২০ ০৫:০৭
Share:

প্রতীকী চিত্র।

দ্বাদশে ৯৮.৫% নম্বর নিয়ে রাজ্যে প্রথম স্থান, কেন্দ্রীয় সরকারি বৃত্তি আর ভবিষ্যতে আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন চোখে নিয়ে দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন হায়দরাবাদের জি ঐশ্বর্য রেড্ডি। কিন্তু মাত্র ১৯ বছরে ওই মেধাবী মেয়ের আত্মহত্যায় সেই স্বপ্নের গলায় দড়ি পড়ে গিয়েছে। ২ নভেম্বরের এই ঘটনা সামনে আসার পরেই ফের আজ মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনীতিকে ধ্বংস করার অভিযোগে সরব বিরোধীরা।

Advertisement

হায়দরাবাদের বাড়ি থেকে মেলা তরুণীর সুইসাইড নোটে লেখা, “আমাকে পড়াতে গিয়ে বিপুল খরচের বোঝা বইছে আমার পরিবার। অথচ পড়াশোনা ছাড়া আমার বাঁচা অসম্ভব। তাই মৃত্যুর পথই বেছে নিচ্ছি আমি।” ঐশ্বর্যের বাবা মেকানিক, মা দর্জি। মেয়ের মেধা আর পড়াশোনায় আগ্রহ দেখে প্রায় সর্বস্ব দিয়ে তাকে পড়াচ্ছিল পরিবার। দিল্লির কলেজে ভর্তি করতে বাড়ি-গয়না বন্ধক রাখতে হয়েছিল।

হঠাৎ লকডাউনে হস্টেল খালি করতে বলা হয়। দিল্লিতে বাড়িভাড়া নিয়ে থাকার সামর্থ্য ছিল না। মার্চ মাস থেকে পাননি বৃত্তির টাকা। সুইসাইড নোটে গণিত অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর আর্তি, “আমার প্রাপ্য বৃত্তির টাকা যেন অন্তত দেওয়া হয় পরিবারকে।” এই ঘটনায় মোদী সরকারকে বিঁধে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী বলেন, “জেনেশুনে নোটবন্দি ও ঘরবন্দিতে অগুনতি পরিবারের ক্ষতি করেছে মোদী সরকার।”

Advertisement

আরও পডুন: চেন্নাইয়ের হোম থেকে বাড়ি ফিরলেন মকবুল

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন