National News

শিক্ষকদের ফূর্তির জন্য মাংস রাঁধল ছাত্ররা, আনল মদও!

গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন অন্য স্কুলের পড়ুয়ারা যখন ‘শুভেচ্ছা’র আদানপ্রদানে ব্যস্ত, তখন কাঁকের ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ব্যস্ত ছিল চাঁদা তোলায়। শিক্ষকরাই তাদের ওই নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে স্কুলে পিকনিক হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাঁকের শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৯:৪২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্কুলের ভিতরেই গ্র্যান্ড পিকনিক!

Advertisement

মেনু? মুরগির মাংস, ভাত। সঙ্গে কেউ কেউ একটু আধটু মদ্যপান!

ভেনু? ছত্তীসগঢ়ের কাঁকের জেলার নরহরপুর ব্লকের একটি সরকারি স্কুল।

Advertisement

উপলক্ষ? শিক্ষক দিবস।

অভিভাবকদের কাছে এমন ঘটনার কথা জানতে পেরে চোখ কপালে উঠেছে শিক্ষা দফতরের কর্তাদের। তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন অন্য স্কুলের পড়ুয়ারা যখন ‘শুভেচ্ছা’র আদানপ্রদানে ব্যস্ত, তখন কাঁকের ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ব্যস্ত ছিল চাঁদা তোলায়। শিক্ষকরাই তাদের ওই নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে স্কুলে পিকনিক হবে। রান্না করবে ছাত্রছাত্রীরাই। খাবার এবং মদ— পরিবেশনের দায়িত্বও তাদের। শুধু চাঁদা নয়, সরস্বতী সাইকেল প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫০ জন ছাত্রীকে সাইকেল দিয়ে তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন, মাইনে বাকি, খুদে ছাত্রকে ‘পণবন্দি’ করল স্কুল

আরও পড়ুন, গুরুগ্রামের ছাত্র খুনে গ্রেফতার দুই স্কুলকর্তা

অভিযোগ, শিক্ষক দিবসের দিন স্কুল ছুটির পর ছাত্রদের কয়েক জনকে ওই টাকা দিয়ে মুরগির মাংস কিনতে বাজারে পাঠানো হয়। অন্য একটা অংশ স্কুল হস্টেলের রান্নাঘরে রান্নার জোগাড় শুরু করে। রান্না শেষে পড়ুয়াদের তা পরিবেশন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মেনুতে মদও ছিল। তবে তা স্কুল চত্বরে না কি অন্য কোথাও বসে শিক্ষকদের একাংশ খেয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কয়েক দিন আগেই ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে গা-হাত-মাথা মাসাজ করানোর অভিযোগে এক শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর দিন কয়েক পরে এক শিক্ষক নাকি মদ্যপ অবস্থায় ক্লাসের ভিতরেই এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন। পরে অভিভাবকদের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়লে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন। মুখ বন্ধ করতে গ্রামের কয়েক জনকে মোটা টাকা দিয়ে সে যাত্রা তিনি চাকরি বাঁচিয়েছেন। ওই অভিযোগ আর উপর মহল পর্যন্ত যায়নি। কিন্তু, এ বারের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন অভিভাবকেরা।

জেলা শিক্ষা আধিকারিক টিআর সাধু টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখতে ব্লক শিক্ষা আধিকারিকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই ঠিক কী হয়েছে তা জানা যাবে বলে তাঁর দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন