লিংকম্যান হিসেবে নেশাখোর বা স্থানীয় অপরাধী নয়, এ বার ছাত্রদের কাজে লাগিয়েছিল আলফা। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে নিন্দায় সরব সব মহল।
তিনসুকিয়া জেলায় স্বাধীনতা দিবসের দিনে চারটি বিস্ফোরণ ঘটে। এসপি মুগ্ধজ্যোতি মহন্ত জানান, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে স্থানীয় কাকজান হাইস্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির দুই ছাত্রকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে বোমা রেখেছিল পরেশপন্থী আলফা। ওই দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় তারা
জানিয়েছে, ১১ অগস্ট তারা বোমাগুলি লাইপুলি, ফিলোবাড়ির ছয় নম্বর লাইন, বাদলাভেটা চা বাগান, চক্রটিং চা বাগানের আট নম্বর লাইন ও ডুমডুমায় একটি সেতুর পাশে রেখে আসে। আগের দিন, ১০ অগস্ট, চার আলফা জঙ্গি চারটি আইইডি ও একটি মোটরসাইকেল ওই দুই ছাত্রের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ জানতে পেরেছে ওই চার জঙ্গির বাড়ি মরিগাঁও, যোরহাট, গোলাঘাট ও শিবসাগরে। এ ভাবে আলফা স্কুলের ছাত্রদের লোভ দেখিয়ে বোমা রাখার কাজে লাগানোয় আসু-সহ বিভিন্ন সংগঠন আলফা স্বাধীনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।
অন্য দিকে, তিনসুকিয়া জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি রত্নেশ্বর মরাণের ছেলে কুলদীপ মরাণকে অপহরণ করার কথা আজ স্বীকার করল আলফা। এ দিন এক বিবৃতিতে তারা জানায়, আলফা স্বাধীন কুলদীপকে অপহরণ করলেও ১২ অগস্টের পর থেকে অপহরণকারী সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাদের দাবি, মাদকাসক্ত কুলদীপ আলফার নাম করে তোলা আদায় করছিল।
অন্য দিকে, পুলিশ ও সেনার যৌথ অভিযানে বড়োভূমির চিরাং থেকে সমখর খাকলারি ওরফে কে সাইখ্লুং নামে এক সংগ্রামপন্থী এনডিএফবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, গুলি ও গ্রেনেড আটক করা হয়েছে।