খাদ্য থেকে শিক্ষা— অপচয় রুখতে সব ক্ষেত্রেই আধার কার্ড ভিত্তিক ভর্তুকি চালু করার পক্ষে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু পরিকল্পনা রূপায়ণের আগেই এ নিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক আপত্তি জানানোয় অস্বস্তিতে কেন্দ্র। এর আগে সংখ্যালঘুদের বৃত্তি দিতে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করার জন্য কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এ বার শিক্ষা মন্ত্রকের আপত্তিতে ব্যাকফুটে মোদী সরকার।
বর্তমানে ৩১টি প্রকল্পে সরকারি ভর্তুকি পেতে আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। তবে সম্প্রতি ক্যাবিনেট সচিবালয়ের সঙ্গে বৈঠকে পড়ুয়াদের আধারভিত্তিক ভর্তুকি দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানায় প্রকাশ জাভড়েকরের অধীনে থাকা স্কুল শিক্ষা দফতর। কেন্দ্রের প্রস্তাব ছিল, মিড ডে মিল থেকে বৃত্তি—ভর্তুকি পেতে ছাত্র-ছাত্রীদের আধার থাকা বাধ্যতামূলক। তাতেই আপত্তি তুলে স্কুল শিক্ষা ও সাক্ষরতা দফতরের যুগ্ম সচিব মণীশ গর্গ জানান, বিষয়টি সংবেদনশীল। আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
জাভড়েকরের মন্ত্রকের যুক্তি, বহু পড়ুয়ারই আধার কার্ড নেই। এই নিয়ম চালু হলে তারা মিড ডে মিল থেকে বৃত্তি— কিছুই পাবে না। তা ছাড়া সরকারি স্কুলের অধিকাংশ বাচ্চা এক বেলা খাবারের থেকে বঞ্চিত হবে। মন্ত্রকের পরামর্শ, ছাত্র-ছাত্রীদের আধার কার্ড করাতে ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় দেওয়া হোক।
মন্ত্রকের বক্তব্য, আগে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের বৃত্তি পেতে আধার বাধ্যতামূলক করে কেন্দ্র। তাতে বহু ছাত্র-ছাত্রী বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সংগঠন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে শীর্ষ আদালত জানায়, আধার কার্ড না থাকায় বৃত্তির টাকা আটকাতে পারে না সরকার। জাভড়েকরের মন্ত্রকের মতে, সরকার এই সিদ্ধান্ত লাগু করতে গেলে ফের আদালতে মুখ পুড়তে পারে সরকারের। শিক্ষাক্ষেত্রে আধার নিয়ে মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ বিতর্ক বাড়াতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের কাছে এমন নির্দেশ আসেনি। মোদী সরকার তাদের বক্তব্য জানালেই তা খতিয়ে দেখা হবে।