Pralay Missile Test

বঙ্গোপসাগরে সফল প্রলয়-পরীক্ষা, নির্ভুল নিশানায় জোড়া লক্ষ্যভেদ দেশীয় ট্যাকটিকাল ক্ষেপণাস্ত্রের

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানাচ্ছে, ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা সোম এবং মঙ্গলবার দু’দফায় ক্ষেপণাস্ত্রটির সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পাল্লায় লক্ষ্যভেদের পরীক্ষা করেছেন। দু’টিই সফল হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৫ ১৬:১৫
Share:

ক্ষেপণাস্ত্র প্রলয়ের পরীক্ষা। ছবি: সমাজমাধ্যম থেকে নেওয়া।

ওড়িশার চাঁদিপুর উপকূলের ‘ডক্টর এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ’ থেকে সফল পরীক্ষা হল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ট্যাকটিকাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রলয়ের। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও বা ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন)-র বিজ্ঞানীরা সোম এবং মঙ্গলবার দু’দফায় ক্ষেপণাস্ত্রটির লক্ষ্যভেদের পরীক্ষা করেছেন।

Advertisement

সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন, দু’টি পাল্লাতেই লক্ষ্যভেদের পরীক্ষায় প্রলয় সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রসঙ্গত, প্রলয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরের লক্ষ্যে আঘাত করতে পারে। ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি উড়ন্ত অবস্থায় অভিমুখও বদলাতেও পারে। ২০২২ সালে ভারতীয় সেনার অস্ত্রাগারে প্রথম শামিল হয়েছিল প্রলয়। তার পর থেকে সেটি উন্নত করার কাজ করছে ডিআরডিও।

৩৫০ থেকে ৭০০ এবং ৫০০ থেকে হাজার কেজির উচ্চ শক্তির বিস্ফোরক ব্যবহার করে প্রলয়। শত্রুপক্ষের ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রকে এড়িয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে প্রলয়। ভারতীয় সেনার পাশাপাশি বায়ুসেনাও এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে থাকে। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনা ফৌজের আগ্রাসন এবং গালওয়ান উপত্যকায় রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে এলএসিতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে সক্রিয় হয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ২০২২ সালে পূর্ব লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে প্রলয়। মধ্য এশিয়ার দেশ আর্মেনিয়া সম্প্রতি প্রলয় কেনার বিষয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement