কেন্দ্রীয় দক্ষতা বিকাশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনন্তকুমার হেগড়ের বিরুদ্ধে টিপু সুলতানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে মানহানির মামলা করতে চলেছেন তাঁর উত্তরসূরিরা। মহীশূরের ওই নবাবের বংশধরেরা কলকাতার টালিগঞ্জের বাসিন্দা। আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন তাঁরাই।
গত দু’বছরের মতো এ বারও ধুমধাম করে ১০ নভেম্বর টিপুর জন্মদিন পালন করছে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। ওই প্রসঙ্গে হেগড়ে টুইট করেছেন, ‘আমি কর্নাটক সরকারকে বলে দিয়েছি, এক জন বর্বর হত্যাকারী, উন্মাদ এবং ধর্ষকের মহিমা প্রচারের লজ্জাজনক অনুষ্ঠানে তারা যেন আমাকে আমন্ত্রণ না করে’। টিপু সম্পর্কে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর এই বিরূপ মন্তব্যে মর্মাহত টিপুর পরিবারের উত্তরসূরিরা। টিপু সুলতানের ছোট ছেলে প্রিন্স গোলাম মহম্মদের প্রপৌত্র প্রিন্স আনোয়ার আলি শাহ’র অভিযোগ, ‘‘বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে। আগে তাজমহলকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করেছে। এ বার টিপু সুলতান সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছে। এটাই প্রমাণ করে, বিজেপি বরাবরই মেরুকরণের রাজনীতি করে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।’’
টিপুর স্মৃতিতে ১৮৩৬ সালে ধর্মতলা ও টালিগঞ্জে টিপু সুলতান মসজিদ তৈরি করেছিলেন তাঁর পুত্র প্রিন্স গোলাম মহম্মদ। ওই দুই মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা প্রিন্স গোলাম মহম্মদ ওয়াকফ এস্টেটের মোতায়াল্লি আনোয়ারের আরও অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হেগড়ে টিপু সুলতান সম্পর্কে ওই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করতে চাইছেন। এটা দেশের পক্ষে লজ্জা। ওঁকে এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। আমরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে আইনজীবীর পরামর্শ নিচ্ছি।’’
মাইসোর ফ্যামিলি ওয়াকফ এস্টেটের মোতায়াল্লি তথা টিপুর আর এক ছেলে প্রিন্স শোভহানের বংশধর শাহিদ আলমের মন্তব্য, ‘‘অনন্তকুমার হেগড়ে ইতিহাসটা ভাল করে পড়ুন। টিপু সুলতানকে নিয়ে ভাল করে জানুন। তাঁকে না জেনেই কেবল সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য করে দয়া করে দেশে অশান্তি ছড়াবেন না।’’