রোহিত শেখাওয়াত। ছবি রোহিতের ফেসবুক পেজ থেকে।
শখ ছিল সুপারবাইক চালানোর। ২২ লক্ষ টাকা খরচ করে কিনেও ফেলেছিলেন কাওয়াসাকি নিন্জা জেডএক্স১০আর। ঘণ্টায় যার সর্বোচ্চ গতিবেগ ৩০০ কিলোমিটার।
শুধু তাই নয়, নিজের নিরাপত্তার জন্য একটা হেলমেট কিনেছিলেন। তবে কোনও সাধারণ মানের হেলমেট নয়। ৫০ হাজার টাকা খরচ করে বিদেশ থেকে আনিয়েছিলেন সেটা। কিন্তু, সেই হেলমেটও বাঁচাতে পারল না রোহিতকে!
রোহিত শেখাওয়াত (৩৫), রাজস্থানের জয়পুরের ওই বাসিন্দা একটি নামী গাড়ি সংস্থার সেলস ম্যানেজার ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে নিজের অত্যাধুনিক বাইক নিয়ে কাজ থেকে ফিরছিলেন তিনি। জেএলএন মার্গের ক্রসিংয়ের কাছে সে সময় রাস্তা পার হচ্ছিলেন দুই পথচারী। প্রচণ্ড গতিতে আসা বাইকটি পথচারীদের বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। বাইকটির চাকা পিছলে যায়। বাইকসমেত রোহিত প্রায় ৫০ ফুট দূরে গিয়ে ছিটকে পড়েন।
এই বাইকে চেপেই যাচ্ছিলেন রোহিত। ছবি: রোহিতের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়ুন: অমিতের পা পড়তেই রাজ্যসভায় জোর হাততালি
লোকজন ছুটে গিয়ে রোহিতকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আহত ওই যুবকের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। তাঁর মাথার হেলমেট খোলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সাধারণ মানের হেলমেট না হওয়ায় সেটা কী ভাবে খুলতে হয় তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না স্থানীয় লোকজন। বেশ কয়েক বার চেষ্টা করেও খোলা সম্ভব হয়নি। তার পর রোহিতকে হেলমেট পরা অবস্থাতেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিত্সকরা হেলমেটের স্ট্র্যাপ কেটে সেটা খোলেন রোহিতের মাথা থেকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি রোহিতকে।
আরও পড়ুন: ক্যাশভ্যানে হামলা ঠেকাতে নতুন বিধি
তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছিল রোহিতের। এক বছরের একটি সন্তানও রয়েছে তাঁর। বাইক এবং দামি গাড়ির প্রতি ছোটবেলা থেকে ঝোঁক ছিল রোহিতের। বাইক ও কার রেসিংয়েও অংশও নিতেন।