—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে বহু দিন আগে। অথচ এখনও রায় ঘোষণা করেনি। এই নিয়ে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের বিচারপতিদের বলল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যে বিচারপতিরা জড়িত রয়েছেন, তাঁরা ছুটি নিয়ে রায় লিখুন।
বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘৬১টি মামলা ঝুলে রয়েছে। ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের বিচারপতিদের বলুন, ১০ থেকে ১২ সপ্তাহের জন্য অনুমোদিত ছুটি নিয়ে রায় লিখে ফেলতে। এই মামলাগুলির এ বার নিষ্পত্তি করুন। মানুষজন রায় চান। তাঁরা আইনশাস্ত্র নিয়ে ভাবিত নন।’’ ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের আইনজীবী অজিত সিংহের উদ্দেশে এই কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের এই পরামর্শ ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পৌঁছে দিতেও বলেছেন বিচারপতি কান্ত।
সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে একাধিক পিটিশন দায়ের করেছিলেন ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী এলাকার পড়ুয়ারা। তাঁরা আবেদনে জানিয়েছেন, হোমগার্ড নিয়োগ নিয়ে একটি মামলা শুনছিল ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। সে রাজ্যের সরকার ১০০০ পদে নিয়োগ বাতিল করেছিল। সেই নিয়েই হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন পড়ুয়ারা। ২০২৩ সালের এপ্রিলে মামলাটির শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। এখনও রায়দান হয়নি।
তবে ওই পড়ুয়ারা একা নন, ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে রায়দান নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ তুলে গত এপ্রিল মাস থেকে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন চার জন, যাঁরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আদালতে। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দিতে বলে। হাই কোর্টে যে সব মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পরে দু’মাস কেটে গেলেও রায় ঘোষণা হয়নি, তার সংখ্যা জানাতে বলে বেঞ্চ। রেজিস্ট্রার জেনারেল রিপোর্ট জমা দিয়ে জানায়, ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে এ রকম মামলার সংখ্যা ৫৬। যদিও সেই রিপোর্টে ওই চার জন দোষীর মামলার কথা উল্লেখ নেই, যাঁরা সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছিলেন। তার পরেই রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি কান্তের বেঞ্চ। এ বার বিচারপতি কান্তের বেঞ্চ ভর্ৎসনা করল ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের বিচারপতিদের।