অনিল অম্বানী। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগে নাম জড়িয়েছে তাঁর মালিকানাধীন রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স গোষ্ঠীর। — ফাইল চিত্র।
ব্যাঙ্ক প্রতারণা সংক্রান্ত মামলায় এ বার রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার অনিল অম্বানীকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। নোটিস পাঠানো হয়েছে ইডি, সিবিআই এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেও। অনিলের মালিকানাধীন রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স-এর নাম জড়িয়েছে ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায়। ওই ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আর্জিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার ওই মামলায় অনিল, ইডি, সিবিআই এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস পাঠিয়ে জবার তলব করেছে প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের বেঞ্চ।
অনিলের সংস্থার বিরুদ্ধে ৩০০০ কোটি টাকা ঋণে বেনিয়মের অভিযোগে ইতিমধ্যে তদন্ত চালাচ্ছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই। কিন্তু এই তদন্ত যাতে আদালতের নজরদারিতে চলে, সেই আবেদন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাক্তন আমলা ইএএস শর্মা। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, তদন্তকারী আধিকারিকেরা সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ককর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগের তদন্ত চালাচ্ছে না। সেই কারণেই আদালতের নজরদারিতে এই তদন্ত চলা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি। আদালত যাতে সিবিআই এবং ইডির থেকে এ বিষয়ে তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট চায়, সেই আবেদন জানান মামলাকারী।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি গবই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চে মামলাটি উঠলে আদালত সব পক্ষকে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দেয়। প্রধান বিচারপতি জানান, তিন সপ্তাহ পরে মামলাটি ফের শুনানির জন্য উঠবে। তার মধ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জবাব দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০০৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অনিলের সংস্থা রিলায়্যান্স গ্রুপ ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়ার সময় নিয়ম মানেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ইডি দেখছে, ঋণ মঞ্জুর হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কয়েক জন বড় অঙ্কের টাকা পেয়েছিলেন। এই মামলায় ‘রিলায়্যান্স অনিল ধীরুভাই অম্বানী গ্রুপ’-এর অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। সম্প্রতি ওই তদন্তের সূত্রে অনিলের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কিছু সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।