বিচ্ছেদের জন্য আইনের দ্বারস্থ হওয়া দম্পতিকে ছ’মাস অপেক্ষা করতে বলা বরং তাঁদের মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আখেরে লাভ কিছুই হয় না। এই যুক্তিকেই মাথায় রেখে এ বার বিবাহবিচ্ছেদ আইনে বড়সড় রদবদলের সিদ্ধান্তের কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য যে ১৮ মাসের কথা বলা হয়, তাতে শেষ ছ’মাসের অপেক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত নয়। দম্পতির সঙ্গে কথা বলে এবং অবস্থার গুরুত্ব বুঝে এই সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট বিচারক।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রশ্নে ফের সঙ্কটে মোদী সরকার
হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করার পর দম্পতিদের ১২ মাস আলাদা থাকতে হয়। এর পরে নিজেদের মধ্যে ফের বোঝাপড়ার একটা সুযোগ দেওয়া হয়। এই সময়কাল ৬ মাস। এর পর বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের মতে, যদি সমস্ত দিক থেকে যথাযথ উদ্যোগী হওয়ার পরেও দম্পতির মধ্যে তিক্ততা মিটিয়ে নেওয়ার কোনও সম্ভাবনা না থাকে, তা হলে তা থেকে বিরত থাকাই উচিত। শুধু তাই নয়, শীর্ষ আদালতের মতে বিচ্ছেদে আগ্রহী দম্পতিকে যত দ্রুত সম্ভব নতুন ও উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে নেওয়ার সুযোগও দেওয়া উচিত। শুধুমাত্র সন্তানের দায়িত্ব ও খোরপোশ নিয়ে দ্বিমত থাকলে তবেই ছ’মাস বা তার অতিরিক্ত সময় দেওয়া উচিত বলেও মত সুপ্রিম কোর্টের।
আরও পড়ুন: লগ্নি টানার দৌড়ে সেই পিছিয়ে রাজ্য
সম্প্রতি দিল্লির এক দম্পতি বিবাহ বিচ্ছেদে ছ’মাসের অপেক্ষার এই আইনি ধাপকে চ্যালেঞ্জ জানায়। আদালতের কাছে ওই দম্পতি জানিয়েছেন, আট বছর ধরে তাঁরা আলাদা থাকেন। এবং বিচ্ছেদের ব্যাপারেও তাঁরা নিশ্চিত। তা হলে এই অতিরিক্ত অপেক্ষার মানে কী? দম্পতির এই আবেদনের ভিত্তিতেই শীর্ষ আদালত এই রায় দেয়।