সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
প্রায় একমাস কাটতে চললেও এখনও খোঁজ মেলেনি মেঘালয়ের খনিগর্ভে আটকে থাকা স্থানীয় ১৫ জনের। তাও তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।
বেআইনি খনি নিয়ে পরিবেশকর্মী আদিত্য নাথ প্রসাদের দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময়ই মেঘালয় সরকারকে এই নির্দেশ দেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টে দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার এই নির্দেশ দেন। এই বেঞ্চের বিচারপতি একে সিক্রি বলেন, ‘‘উদ্ধারকার্য চালিয়ে যান, মিরাকল ঘটতেই পারে। নাহলে যদি সকলেই বা কয়েকজন বেঁচে থাকেন তাঁদের কী হবে?’’
মেঘালয় সরকার এবং কেন্দ্রের প্রতি বেঞ্চের আবেদন, প্রয়োজনে আরও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের উদ্ধার করতে হবে। পাশাপাশি বেআইনি খনি রোখার জন্য কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তাও মেঘালয় প্রশাসনের কাছে জানতে চেয়েছে বেঞ্চ। এর জবাবেরাজ্যের তরফে আইনজীহী বেঞ্চকে জানিয়েছে, এ ব্যক্তি এই বেআইনি খনি চালাতেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপসারণের পরই চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন অলোক বর্মা
গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে মেঘালয়ের বেআইনি খাদানে কয়লা তুলতে গিয়ে আটকে পড়েন স্থানীয় ১৫ জন। লাগোয়া একটি নদী থেকে জল ঢুকে বন্ধ হয়ে যায় ‘র্যাট হোল মাইন’-এর মুখ। তার দু’দিন পর থেকেই উদ্ধার কাজ শুরু হলেও প্রথমে তাতে তেমন গতি আসেনি। পরে উদ্ধারে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, নৌসেনা, ওড়িশা দমকল বিভাগ এবং কোল ইন্ডিয়া। কিন্তু সেই উদ্ধার কাজ কবে শেষ হবে, সে নিয়ে এখনও নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। কারণ মেঘালয়ের যে এলাকায় এই বেআইনি ‘র্যাট হোল’ খনি রয়েছে, তার ঠিক পাশেই নদী থাকায় এবং খনিগুলোর গভীরতা অনেক বেশি হওয়ায় জল বার করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: দ্রুত দিক বদলাচ্ছে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র, দিক নির্ণয়ে বিভ্রান্তি স্থলে-জলে-আকাশে
পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এক কোটি লিটার জল বার করা হয়েছে খনি থেকে। কিন্তু তাতেও জলস্তর বেশি কমানো যায়নি।