প্রতীকী ছবি।
কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানিয়ে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলার শুনানি পর্ব শেষ হলেও বৃহস্পতিবার রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১০ তারিখ থেকে শীর্ষ আদালতে গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হচ্ছে। তার আগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ ব্যাপারে রায় দেয় কি না, সেটাই দেখার।
এ দিনের শুনানিতে সারদার অন্যতম কর্ত্রী দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের ল্যাপটপ ও মোবাইল থেকে পাওয়া তথ্য সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল কি না, তা রাজীব কুমারের আইনজীবীর কাছে জানতে চায় আদালত। সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন ও দেবযানীর কাছ থেকে পাওয়া মোবাইল ও ল্যাপটপ অভিযুক্তদের ফিরিয়ে দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। রাজীবের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ আজ আদালতে বলেন, দেবযানীর ল্যাপটপ ও মোবাইলের সমস্ত তথ্য ‘কপি’ করা হয়েছিল। কারণ, তথ্য গুরুত্বপূর্ণ, যন্ত্র নয়। সেই তথ্য ইডি এবং সেবি-কে দেওয়া হয়েছিল। সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন ‘‘সিবিআই-কে ওই সম্পর্কিত কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।’’ ‘কপি’ করা তথ্য ফরেনসিক বিভাগকে দিয়ে যাচাই করা হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
ভোটের মরসুমে রাজনৈতিক কারণেই রাজীবকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে আজ আদালতে সরব হন ইন্দিরা জয়সিংহ। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে পাল্টা বলা হয়, তারা কোনও ব্যক্তিকে নিশানা করেনি। যাঁরা ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের সকলেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি-র কাছে রাজীব কুমার ছাড়াও পল্লবকান্তি ঘোষ ও অর্ণব ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে সুপ্রিম কোর্ট যে রক্ষাকবচ দিয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল সিবিআই। ইন্দিরা জয়সিংহ আজ বলেন, ‘‘রাজীবের বিরুদ্ধে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার মতো কোনও প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে নেই। তা ছাড়া সিবিআই ইতিমধ্যেই তাঁকে ৪০ ঘণ্টা জেরা করেছে। এর পরে আর কী বাকি থাকতে পারে?’’ রাজীবের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআরও হয়নি বলেও জানানো হয় আদালতকে। জবাবে তুষার মেহতা বলেন, হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কোনও আলাদা এফআইআর-এর প্রয়োজন হয় না। সিবিআই চায় সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ তুলে নিক এবং আইনকে আইনের পথে চলতে দেওয়া হোক।