জামিনের বাকি টাকা মেটাতে সহারার বাড়তি সময়ের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। বরং শীর্ষ আদালত সহারা কর্তাকে ভর্ৎসনা করে বলল, আইনের সঙ্গে ছেলেখেলা করার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে বেছে নিয়েছেন সুব্রত রায়।
জামিনের বাকি ৯৬৬.৮০ কোটি টাকা মেটাতে আরও দু’মাস (১১ নভেম্বর পর্যন্ত) সময় চেয়েছিলেন সহারা কর্তা। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ১১ নভেম্বর অবধি সময় দেওয়া যাবে না। তার আগেই বকেয়া টাকা জমা দিতে হবে।
এর পাশাপাশি, পুণের কাছে সহারার অ্যাম্বি ভ্যালি নিলাম অক্টোবরের নির্দিষ্ট সময়েই শেষ করতে সরকারি লিকুইডেটরকে এ দিন নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা জমা না-দেওয়ায় ১০ অগস্টই সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশের জন্য সহারার করা আর্জিও খারিজ করেছিল তারা।
যদিও এ দিন এক বিবৃতিতে সহারার দাবি, অ্যাম্বি ভ্যালির ২৬% অংশীদারির বদলে ১৬০ কোটি ডলার (প্রায় ১০,৪০০ কোটি টাকা) ঋণ দিতে রাজি হয়েছে দুবাইয়ের সংস্থা রয়্যাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। যার কপি ইতিমধ্যেই আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে বকেয়া টাকা জমা দেওয়ার জন্য ১১ নভেম্বরের পোস্ট ডেটেড চেক জমা দেওয়ার আর্জি জানান সহারা কর্ণধার। তিনি দাবি করেন, ইতিমধ্যেই ৫৩৩.২০ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। বাকিটা দু’মাসে দিতে অনুমতি দেওয়া হোক। তারই উত্তরে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চের বক্তব্য, যিনি আইনের সঙ্গে লুকোচুরি করেন, তাঁকে সহানুভূতি দেখানোর কোনও মানে হয় না। যিনি মনে করেন আইনের সঙ্গে ছেলেখেলা করবেন, তিনি ভুল করছেন।
সহারার বক্তব্য খারিজ করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কত রকম ভাবে আইনকে ফাঁকি দেওয়া যায়, তা দেখতে সুপ্রিম কোর্টকে গবেষণাগারের মতো ব্যবহার করছেন সুব্রতবাবু। এর পরে টাকা উদ্ধারে লিকুইডেটরকে অ্যাম্বি ভ্যালি বিক্রির প্রক্রিয়া চালাতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।