সুপ্রিম কোর্ট। — ফাইল চিত্র।
ব্যাঙ্কের চেক বাউন্স করলে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি একটি উপায়ে নিজের জেলযাত্রা আটকাতে পারেন! মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি অভিযোগকারীর সঙ্গে বোঝাপড়ায় আসতে পারেন এবং দু’পক্ষের মধ্যে যদি সমঝোতার নথি স্বাক্ষরিত হয়, তা হলে ‘নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট’-এর অনুচ্ছেদ ১৩৮ কার্যকর হবে না। অর্থাৎ, জেলে যাওয়া রুখতে পারেন দোষী ব্যক্তি।
চেক বাউন্স সংক্রান্ত একটি মামলায় দু’পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া হয়ে গেলেও দোষীকে মামলা থেকে নিষ্কৃতি দিতে অস্বীকৃত হয় পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। মামলাটি শীর্ষ আদালতে যায়। মঙ্গলবার বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ জানিয়েছে, চেক বাউন্স সংক্রান্ত অভিযোগ আপসের মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। বিষয়টি ব্যক্তিগত হলেও বোঝাপড়়ার বিষয়টিতে যাতে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে, সে কারণেই এটিকে অপরাধের তালিকায় রাখা হয়েছে বলে জানায় শীর্ষ আদালত।
শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, অভিযোগকারী দোষীর সঙ্গে বোঝাপড়ার নথিতে স্বাক্ষর করবেন। তার পর বকেয়া অর্থ পুরো মিটিয়ে দেবেন দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তি। সে ক্ষেত্রে দোষীর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করবে না আদালত। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে দু’পক্ষকেই স্বেচ্ছায় রাজি হতে হবে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট’ আইনে চেক-এর অবমাননা (বাউন্স) অপরাধ হিসাবেই গণ্য হয়েছে। কিন্তু ওই আইনেরই ১৪৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে বিষয়টি বোঝাপড়ার মধ্যে মিটিয়ে ফেলা সম্ভব।