Supreme Court

পুরনো বিবাদের জেরে স্ত্রী আত্মহত্যা করলে স্বামীর ‘দোষ’ নয়, ৩০ বছর আগের মামলায় রায় সুপ্রিম কোর্টের

মামলায় রায় দিয়েছে বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চ। দুই বিচারপতির বেঞ্চের যুক্তি, শুধুমাত্র হেনস্থা বা সম্পর্কে টানাপড়েনের অভিযোগ থেকে এটি প্রমাণিত হয় না যে স্বামী তাঁর স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:০১
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল স্বামীর বিরুদ্ধে। প্রায় ৩০ বছর আগের ওই মামলায় স্বামীকে বেকসুর খালাস করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, বৈবাহিক সম্পর্কে বিবাদের জেরে কেউ আত্মহত্যা করলে তাঁর স্বামী বা স্ত্রীকে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়া আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে অতীতের ঝগড়ার মতো সাধারণ প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত।

Advertisement

মামলায় রায় দিয়েছে বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চ। দুই বিচারপতির বেঞ্চের যুক্তি, শুধুমাত্র হেনস্থা বা সম্পর্কে টানাপড়েনের অভিযোগ থেকে এটি প্রমাণিত হয় না যে স্বামী তাঁর স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন। কাউকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করতে স্পষ্ট এবং প্রত্যক্ষ প্রমাণ প্রয়োজন। এর পরেই নিম্ন আদালত এবং হাই কোর্টের রায় খারিজ করে আবেদনকারী স্বামীর পক্ষে রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

মামলাটি প্রায় ৩০ বছর আগের। নয়ের দশকে উত্তরাখণ্ডে শ্বশুরবাড়িতে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন এক যুবতী। মৃতের পরিবারের অভিযোগ ছিল, ওই যুবতীকে তাঁর স্বামী ছেড়ে গিয়েছিলেন। তিনি অন্য মহিলার সঙ্গে বসবাস করতে শুরু করেছিলেন বলেও অভিযোগ। এমনকি, যুবতীর আত্মঘাতী হওয়ার দু’দিন আগেও তুমুল বচসা হয়েছিল দু’জনের। এর পরেই মৃতার স্বামীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। ২০০১ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ট্রায়াল কোর্ট। ২০১৩ সালে হাই কোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। তবে ওই যুবক যে স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন, তার কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ ছিল না। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, পরিস্থিতি যদি সত্য বলে ধরে নেওয়াও হয়, তা হলেও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারা অনুযায়ী স্বামী যে তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন তা প্রমাণ করা সম্ভব নয়। ওই ব্যক্তিকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement