Supreme Court

NEET: সংরক্ষণের সঙ্গে যোগ্যতার বিরোধ নেই, নিটে কোটায় সায় দিয়ে বলল সুপ্রিম কোর্ট

অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ এবং আয়ের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে বিশদ শুনানি হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৩৮
Share:

ফাইল চিত্র।

সংরক্ষণের সঙ্গে যোগ্যতার বিরোধ নেই বরং তা যোগ্যতার সুফলকে আরও বিস্তৃত করে— এই যুক্তিতে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা নিট-এ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্যতাকে তার সামাজিক পটভূমির নিরিখে বিচার করতে হবে বলে জানাল তারা।

Advertisement

এ মাসের সাত তারিখ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এ এস বোপান্নার বেঞ্চ তাদের সংক্ষিপ্ত নির্দেশে ওবিসি সংরক্ষণকে সাংবিধানিক ভাবে বৈধ বলে ঘোষণা করে। অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির ১০ শতাংশ কোটার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বার্ষিক আট লক্ষ টাকা আয়ের যে ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করেছিল, সেটিও চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য বহাল রাখে। বিচারপতিরা বলেছিলেন, পরে তাঁরা বিস্তারিত নির্দেশ দেবেন এবং তাঁদের সিদ্ধান্তের যুক্তিও ব্যাখ্যা করবেন। বৃহস্পতিবার সেই বিস্তারিত নির্দেশ এল।

বিস্তারিত নির্দেশে আজ বিচারপতিরা বলেছেন, আর্থিক ও সামাজিক ভাবে এগিয়ে থাকার দীর্ঘপুঞ্জিত সুবিধা যে কিছু শ্রেণি ভোগ করে, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় তার প্রতিফলন নেই। সুতরাং মেধাকে তার সামাজিক পটভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখা চলে না। আদালতের মতে, সংরক্ষণের ব্যবস্থা মানে যোগ্যতার সঙ্গে আপস করা নয়, বরং যোগ্যতার সুফলকে আরও বিস্তৃত করা।

Advertisement

ওবিসি সংরক্ষণের প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্ট শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে বহালই রাখেনি, এ-ও বলেছে যে, ওই কোটা চালু করার জন্য আদালতের আগাম অনুমতির প্রয়োজন ছিল না, ফলে সেখানেও কেন্দ্রের কোনও ভুল নেই। নিট-স্নাতকোত্তরের কাউন্সেলিং যে ভাবে থমকে ছিল, সে কথা উল্লেখ করে আদালত বলেছে, বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপ মেডিক্যালে ভর্তির বিষয়টি আরও দীর্ঘায়িত করতে পারে, যা কাম্য নয়। অতিমারি-কালে দেশে আরও বেশি করে ডাক্তার প্রয়োজন।

তবে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ এবং আয়ের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে বিশদ শুনানি হবে। তার আগে এই শিক্ষাবর্ষের জন্য আট লক্ষ টাকা আয়ের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে অগ্রসর হতে বলেছে আদালত। তারা ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের মাপকাঠি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছিল। কেন্দ্রের নিযুক্ত তিন সদস্যের কমিটি ৩১ ডিসেম্বর আদালতের কাছে যে রিপোর্ট জমা দেয়, তাতে ২০১৯-এ স্থিরীকৃত আট লক্ষের ঊর্ধ্বসীমা নিয়েই আপাতত এগোনোর পক্ষে মত দেওয়া হয়েছিল। কারণ নইলে চলতি ভর্তি-প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হবে। আদালত তা গ্রহণ করেছে।

সংবাদ সংস্থা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন