পথকুকুর মামলায় শুক্রবার নির্দেশ দেবে সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
পথকুকুর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আদালতে সশরীরে হাজিরা দিলেন তলব পাওয়া প্রায় সব রাজ্যের মুখ্যসচিব। আসতে পারবেন না জানিয়ে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন কেরলের মুখ্যসচিব। সে রাজ্যের প্রধান (প্রিন্সিপাল) সচিব আদালতে হাজিরা দেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতি এনভি অঞ্জরিয়ার তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মামলায় আগামী শুক্রবার (৭ নভেম্বর) নির্দেশ দেওয়া হবে।
সোমবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মামলায় ভারতের প্রাণীকল্যাণ বোর্ড (অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার বোর্ড)-কেও পক্ষ করতে হবে। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যসচিবদের নতুন করে হাজিরা দেওয়ার আর প্রয়োজন নেই। তবে পথকুকুর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা না-মানা হলে মুখ্যসচিবদের ফের আদালতে হাজিরা দিতে হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
গত ২২ অগস্ট দিল্লির পথকুকুর সংক্রান্ত মামলায় সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে যুক্ত করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়েছিল, পথকুকুরদের রাস্তা থেকে নির্দিষ্ট আশ্রয়ে তুলে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে তাদের সঠিক পদ্ধতিতে বন্ধ্যাত্বকরণ এবং প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ করতে হবে। তার পর আবার যেখান থেকে কুকুরদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে ফিরিয়ে দিয়ে যেতে হবে। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের এই সংক্রান্ত হলফনামা সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা এবং দিল্লি সরকার ছাড়া আর কেউ তা করেনি বলে অভিযোগ।
গত সোমবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে পথকুকুর সংক্রান্ত মামলাটি উঠেছিল। ওই দিনের শুনানিতে অধিকাংশ রাজ্যের কাছ থেকে কোনও জবাব না-মেলায় তাদের ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত। তার পরেই ওই রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের তলব করা হয়। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা সোমবার জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা কতটা কী মানা হয়েছে, তা জানিয়ে প্রায় সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছে।
দিল্লিতে একের পর এক পথকুকুরের কামড়ের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছিল। এই পরিস্থিতিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা শোনে সুপ্রিম কোর্ট। প্রথমে দিল্লির রাস্তা থেকে সমস্ত পথকুকুরকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পরে তা পরিবর্তন করে বন্ধ্যাত্বকরণে জোর দেওয়া হয়।