মন্ত্রী করতে জমি নিতেন লালুপ্রসাদ, অভিযোগ সুশীলের

লালুপ্রসাদ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ফের দুর্নীতির অভিযোগ তুলল বিজেপি। দলের নালিশ, মন্ত্রী হওয়ার জন্য আরজেডি সভাপতির পরিজনদের নামে জমি বা বাড়ি লিখে দিতে হয় দলীয় নেতাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:২৭
Share:

সুশীল মোদী।

লালুপ্রসাদ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ফের দুর্নীতির অভিযোগ তুলল বিজেপি। দলের নালিশ, মন্ত্রী হওয়ার জন্য আরজেডি সভাপতির পরিজনদের নামে জমি বা বাড়ি লিখে দিতে হয় দলীয় নেতাদের।

Advertisement

আজ পটনায় বিজেপি নেতা সুশীল মোদী অভিযোগ করেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রঘুনাথ ঝা ও কান্তি সিংহের কাছ থেকেও জমি নিয়েছেন লালুপ্রসাদ। প্রায় ৪০ জনের কাছ থেকে এ ভাবে সম্পত্তি হাসিল করার প্রমাণ রয়েছে বলেও সুশীলের দাবি। তিনি বলেন, ‘‘ওই সব সম্পত্তি হস্তান্তরের কাগজে সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে লালু-ঘনিষ্ঠ বিধায়ক ভোলাপ্রসাদ যাদবের।’’

বিজেপি নেতার বক্তব্য, ২০০৪ সালে জেডিইউ ছেড়ে আরজেডিতে যোগ দেন রঘুনাথ ঝা। লোকসভা ভোটে জেতেন তিনি। এক বছর পর কেন্দ্রে তাঁকে ভারী শিল্প মন্ত্রী করা হয়। সুশীলের অভিযোগ, মন্ত্রী হওয়ার আগে ২০০৫ সালের ১৮ জুন গোপালগঞ্জে জাতীয় সড়কের পাশে তিন তলা বাড়ি-সহ ৬ বিঘা ১৮ কাঠা জমি লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বী ও তেজপ্রতাপের নামে ‘দানপত্র’ করে দিতে বাধ্য হন রঘুনাথ। ওই সম্পত্তির বাজারদর ছিল প্রায় ১৫ কোটি টাকা। কিন্তু নির্বাচনী হলফনামায় তার বিবরণ দেননি তেজস্বী, তেজপ্রতাপ।

Advertisement

সুশীল অভিযোগ করেন, ২০০৬ সালের ১৩ মার্চ প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি সিংহের স্বামী কেশবপ্রসাদ সিংহ এবং ছেলে ঋষি কুমার দানাপুরের সগুনা মোড়ে ৯৫ ডেসিমেল জমিতে একটি বাড়ি রাবড়িদেবীর নামে ৯৯ বছরের ‘লিজ’-এ দেন। সমস্ত কর জমিমালিক দেবেন বলে ঠিক করা হয়। বকলমে জমির মালিক হন রাবড়ি, লালু। সুশীলের কথায়, ‘‘তার পরই কান্তিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সামিলের ব্যবস্থা করেন লালুপ্রসাদ।’’ তাঁর দাবি, এ ভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন লালুপ্রসাদ ও পরিবারের সদস্যরা।

এ বিষয়ে লালু বা তাঁর পরিবারের কেউ মুখ খোলেননি। বরং আরজেডি নেতা মনোজ ঝা পাল্টা অভিযোগ করেছেন, ‘‘সুশীল মোদীর ভাইয়ের বিরুদ্ধেও বেনামে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। আমরা তা নিয়ে তদন্ত চাইছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন