শুক্রবার সর্বদল বৈঠকের ডাক সুষমা-রাজনাথের।ফাইল চিত্র।
চিন-ভারত সীমান্ত সমস্যার সমাধানসূত্র খুঁজতে সর্বদল বৈঠকের ডাক দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে ওই বৈঠকে সামিল হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে কংগ্রেস থেকে জেডি (ইউ), তৃণমূল থেকে বামপন্থী— সমস্ত বিরোধী দলের সংসদীয় নেতা-মন্ত্রীদের। ইতিমধ্যেই সিকিম সীমান্তে ভারত-চিন সংঘাতের চার সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। সরকারি মুখপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ রোজই একটু একটু করে সুর চড়াচ্ছে চিন। তাই এই মুহূর্তে সীমান্তে দু’দেশের অবস্থান ঠিক কী, সেই বিষয় বিরোধীদের অবগত করানোই এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর।
আরও খবর: দু’কোটি ঘুষ দিয়ে জেলে ভিআইপি ট্রিটমেন্ট! ফের শিরোনামে শশীকলা
নোট বাতিল থেকে মোদীর বিদেশনীতি, বহু বার বিরোধীদের অন্ধকারে রাখার জন্য কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়েছে বিরোধী শিবির। আসন্ন বর্ষাকালীন অধিবেশনে সংসদে এই বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা ফের সুর চড়াতে পারে বলেই মনে করছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই চিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। তাই সংসদের অধিবেশনের আগেই সব দলকে একজোট করে সীমান্ত সমস্যার একটা পরিষ্কার ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে এই বৈঠকে।
জুন মাসের গোড়া থেকেই ভারত-ভুটান-চিন সীমান্তবর্তী ডোকালামে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। এই মুহূর্তে ত্রিদেশীয় সীমান্তে চিনা সেনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী মুখোমুখি অবস্থান করছে। কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, সীমান্তে সেনা বাড়ানোর পাশাপাশি ভারত এ বার শান্তির পথ খোঁজারও চেষ্টা করছে। আগামী সেপ্টেম্বরে ব্রিকস বৈঠকে যোগ দিতে মোদীর বেজিং যাওয়ার কথা। ভারত চাইছে, তার আগেই উত্তেজনা প্রশমিত হোক, যাতে বাণিজ্যিক ভাবে এই সফর ভারতের জন্য ফলপ্রসূ হয়।