নাট্য প্রতিভা খুঁজতে কর্মশালা শিলচরে

নাটকের প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ফিরিয়ে আনতে নাট্যশিল্পী খুঁজছে শিলচরের কলা অ্যাকাডেমি। ছ’মাসের প্রশিক্ষণ শিবির চলছে সেখানে। সঙ্গে স্বল্প সময়ের কর্মশালাও। কলা অ্যাকাডেমির কর্মকর্তাদের কথায়— হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দিলে নাট্যশিল্পই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৫ ০৩:০৭
Share:

নাটকের প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ফিরিয়ে আনতে নাট্যশিল্পী খুঁজছে শিলচরের কলা অ্যাকাডেমি। ছ’মাসের প্রশিক্ষণ শিবির চলছে সেখানে। সঙ্গে স্বল্প সময়ের কর্মশালাও।

Advertisement

কলা অ্যাকাডেমির কর্মকর্তাদের কথায়— হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দিলে নাট্যশিল্পই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তাই চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে। তাঁদের দাবি, কর্মশালায় ভবিষ্যতের শিল্পীরা উঠে আসছেন। গত জুলাইয়েও শিশু নাট্য কর্মশালার আয়োজন করেছিল কলা অ্যাকাডেমি। ২৬ জন তাতে অংশ নেয়। মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন নির্দেশক ও অভিনেতা শান্তনু পাল। আগে কলা অ্যাকাডেমির সব কর্মসূচিতেই ‘ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা’ শিক্ষক পাঠাত। ২০১১ সালে তাঁরা সেই দায়িত্ব শান্তনুবাবুর হাতেই তুলে দেয়। এ বার ১১ দিনের কর্মশালায় তাঁর সহযোগী হিসেবে ছিলেন সায়ন্তনী মিঠি ও জুয়েল দাস। দু’জনই কলা অ্যাকাডেমির শিশুনাট্য কর্মশালার ফসল। এখন বরাকে নামী অভিনেতা হিসেবে পরিচিত।

প্রতিটি কর্মশালার মতো এ বারও প্রশিক্ষণ শেষে একটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় ১০ মিনিটের নাটক ‘তিল থেকে তাল’। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কর্মশালাই প্রতিভা সামনে নিয়ে আসে। শিশু মনস্তত্ত্বে এ সব কার্যকলাপের ভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে।’’ শান্তনুবাবু জানান, ২০০৭ থেকে তাঁরা এ ধরনের কর্মশালা করছেন। প্রতি বছর একটি। ২০১০ সালে হয়েছিল তিনটি কর্মশালা। পালংঘাট, শ্রীকোণা, উধারবন্দে। এখনও পর্যন্ত সেখানে শ’তিনেক শিশু নাটকের পাঠ নিয়েছে। তাদের একটি বড় অংশ এখন বিভিন্ন নাট্য সংস্থার হয়ে মঞ্চে অভিনয়ও করছে। গত বছর ‘ভাবীকাল’ নামে এক নাট্যসংস্থা ‘সদানন্দ দ্য ইডিয়ট’ করে সাড়া ফেলেছিল শহরে। সেই নাটকের প্রত্যেক শিল্পী বিভিন্ন সময় কলা অ্যাকাডেমির কর্মশালায় প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। শান্তনুবাবু নাটক নিয়ে আশাহত নন। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি কর্মশালায় ৩০ জনকে নেওয়ার পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু সব বারই শিশু ও অভিভাবকদের আগ্রহে এক-দু’জন অতিরিক্ত ছাত্রীছাত্রীকে নিতে হয়। অংশ নেয় প্রতিষ্ঠিত অভিনেতাদের সন্তানরাও।’’

Advertisement

দশরূপক-এর চিত্রভানু ভৌমিকের মেয়ে, কোরাসের বিশ্বজিৎ দাসের দুই মেয়েও কলা অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষিত। বিভিন্ন নাট্যসংস্থাগুলিও যে এ ব্যাপারে অত্যন্ত উদার, সে কথা উল্লেখ করেন কলা অ্যাকাডেমির কর্মকর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন