নিহত সেই সাব-ইনস্পেক্টর। ছবি: সংগৃহীত।
তামিলনাড়ুর তিরুপুরে এক সাব-ইনস্পেক্টরকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তকে খুঁজে বার করে পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতারের পর সঙ্গে নিয়ে খুনের ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে গিয়েছিল পুলিশ। সেই সময় পুলিশের এক কর্মীর উপর সেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেন অভিযুক্ত মণিকন্দন। তার পর পুলিশের হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তাঁকে গুলি করেন এক সাব-ইনস্পেক্টর।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় মণিকন্দন আহত হন। তাঁকে এবং আহত এক পুলিশকর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা মণিকন্দনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গত ৫ অগস্ট তিরুপুরের কুড়িমঙ্গলমে সাব-ইনস্পেক্টর সন্মুগাভেলকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে মণিকন্দন-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে। মণিকন্দনকে গ্রেফতার করতে পারলেও বাকি দু’জন পলাতক।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাবা এবং দুই ছেলের মধ্যে ঝামেলা থামাতে গিয়েছিলেন এসআই সন্মুগাভেল। সেই সময়েই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। এসআই-কে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। মণিকন্দনকে গুলির ঘটনায় মানবাধিকার সংগঠন প্রশ্ন তুলেছে। কেন গুলি করা হল, তার জবাব চাওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, তাদের উপর হামলা করেন অভিযুক্ত যুবক। এক এসআই আহত হয়েছেন। আত্মরক্ষার্থে গুলি করা হয়েছে অভিযুক্তকে। তবে এই এনকাউন্টার নিয়ে বিতর্কের পারদ চড়তে শুরু করেছে।