শশিকলা ও জয়ললিতা। -ফাইল চিত্র।
হাসপাতালে তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিয়েছিলেন বলে ক্ষমা চাইলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী দিন্দিগুল সি শ্রীনিবাসন।
শাসক দল এআইএডিএমকে’র এক সাম্প্রতিক বৈঠকে শ্রীনিবাসন সখেদে বলেছেন, ‘‘জয়ললিতা যখন মাস নয়েক আগে দীর্ঘ দিন ধরে ছিলেন হাসপাতালে, তখন কেউই আমরা তাঁকে দেখতে যেতাম না। মানুষকে মিথ্যে বলতে আমাদের বাধ্য করা হত। আমাদের বলতে বাধ্য করা হত হাসপাতালে জয়ললিতাকে গিয়ে ইডলি খাইয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু আমরা কেউই ওঁকে দেখতে যেতাম না হাসপাতালে।’’
আরও পড়ুন- উত্তর কোরিয়ায় তেল, গ্যাস রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আনছে চিন
আরও পড়ুন- ডোকলাম এখন অতীত, বলল চিন
কে বাধ্য করতেন তাঁদের এ সব করতে?
নামোল্লেখ করেননি শ্রীনিবাসন। তবে তাঁর তিরটা যে এআইএডিএমকে সুপ্রিমো জয়ললিতার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শশিকলাকে লক্ষ্য করেই, শাসক দলের একটি সূত্র তেমনই জানাচ্ছে। তাঁদের বক্তব্য, দলের বৈঠকে ওই কথা বলে শ্রীনিবাসন এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, হাসপাতালে জয়ললিতার শরীর-স্বাস্থ্য উত্তরোত্তর ভেঙে পড়ছে দেখেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করে দিয়েছিলেন শশিকলা।
জয়ললিতার দল সূত্রের খবর, জেলে যাওয়ার সময়েও ঘুঁটি সাজাচ্ছিলেন শশিকলা। তাই ও পনীরসেলভমের জায়গায় তাঁর সেই সময়ের অনুগত ই পালানিস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়েছিলেন। আর দলের ক্ষমতার রশি যাতে তাঁরই হাতে থাকে, সে জন্য তাঁর ভাইপো টিটিভি দিনকরণকে দলের সভাপতি বানানোর চেষ্টা করেছিলেন শশিকলা। সেই সময়েই শশিকলার মতলব নিয়ে অল্প মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন পনীর। পনীরসেলভম তখন বলেছিলেন, হাসপাতালে জয়ললিতার সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হত না।
শ্রীনিবাসন বলেছেন, ‘‘ওই সময় অমিত শাহ, রাহুল গাঁধীকেও হাসপাতালে দেখা করতে দেওয়া হয়নি জয়ললিতার সঙ্গে।’’