Vellore Hospital

ফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতে চিকিৎসা! ভেলোরে নার্সের গাফিলতিতে আঙুল কাটা গেল সদ্যোজাতের

ঘটনার সূত্রপাত গত ২৪ মে। ওই দিন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নিবেথাকে ভেলোরের ওই হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মুল্লিপালায়মের বাসিন্দা বিমলরাজ। সেখানেই একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বছর চব্বিশের নিবেথা। রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকায় সদ্যোজাত শিশুটিকে গ্লুকোজ় দেওয়া হচ্ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৫ ১৯:০১
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

নার্সের অসাবধানতায় আঙুল বাদ গেল সদ্যোজাতের! অভিযোগ এমনটাই। সম্প্রতি তামিলনাড়ুর ভেলোরের একটি হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। এর পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন শিশুটির বাবা-মা।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত গত ২৪ মে। ওই দিন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নিবেথাকে ভেলোরের ওই হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মুল্লিপালায়মের বাসিন্দা বিমলরাজ। সেখানেই একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বছর চব্বিশের নিবেথা। রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকায় সদ্যোজাত শিশুটিকে গ্লুকোজ় দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু অভিযোগ, হাতে বেঁধানো সূচ বার করার সময় অসাবধানতার বশে ভুল করে শিশুটির আঙুল কেটে ফেলেন কর্তব্যরত নার্স!

শিশুটির বাবা-মায়ের অভিযোগ, গ্লুকোজ়ের সূচ বদলানোর জন্য কাঁচি দিয়ে তাঁদের শিশুপুত্রের হাতের টেপ কাটার চেষ্টা করছিলেন ওই নার্স। কিন্তু সে সময় ভুল করে সদ্যোজাতের হাতের বুড়ো আঙুল কেটে ফেলেন তিনি। শিশুটির বাবার আরও দাবি, ওই সময় নার্স মোবাইলে কথা বলতে মগ্ন ছিলেন। তাঁর অমনোযোগের কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। বিমলরাজের কথায়, ‘‘ঘটনার পর দেড় ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আমাকে ছেলের সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি। এটি নিছক অবহেলা ছাড়া আর কিছুই না। নার্সের অসাবধানতার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।’’

Advertisement

অন্য দিকে, নার্সের কীর্তি প্রকাশ্যে আসতেই সাড়া পড়ে যায় হাসপাতালে। খবর পেয়েই শিশুটিকে জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য তড়িঘড়ি চেন্নাইয়ের স্ট্যানলি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নার্সের এই কাজে ১৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি যে এমন ঘটাবেন, বিশ্বাসই হচ্ছে না হাসপাতালের কর্মীদের! ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ভেলোরের জেলাশাসক সুব্বুলক্ষ্মী। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সুব্বুলক্ষ্মী বলেন, ‘‘যদি প্রমাণিত হয় যে ওই নার্স সে সময় প্রকৃতই ফোনে কথা বলছিলেন, তা হলে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।’’ তিনি আরও যোগ করেন, ওই পদ্ধতিতে কাঁচি ব্যবহারের আদৌ প্রয়োজন ছিল না, খালি হাতেই এটি করা যেত। শিশুটি বর্তমানে চেন্নাইয়ের স্ট্যানলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement