Drug Smuggling

নারকেলে লুকিয়ে মাদক পাচার বিদেশে, সেই টাকাতেই সিনেমা তৈরি করতেন তামিল প্রযোজক?

এনসিবি সূত্রে খবর, সাদিকের অধীনে বেশ কয়েকটি দল কাজ করত। সেই দলের কাজ ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ জ়িল্যান্ডে মাদক পাচার করা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

নারকেল এবং শুকনো ফলের মধ্যে লুকিয়ে মাদক পাচার করতেন তামিল প্রযোজক জাফর সাদিক? তেমনই দাবি করেছে মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)। শুধু তাই-ই নয়, সেই মাদক পাচারের টাকা সিনেমা তৈরির কাজে লাগাতেন তিনি।

Advertisement

এনসিবি সূত্রে খবর, সাদিকের অধীনে বেশ কয়েকটি দল কাজ করত। সেই দলের কাজ ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ জ়িল্যান্ডে মাদক পাচার করা। মাদক পাচার করে যে কোটি কোটি টাকা আয় করতেন সাদিক, তা সিনেমা ছাড়াও আবাসন ব্যবসাতেও বিনিয়োগ করতেন। এনসিবির ডিডিজি জ্ঞানেশ্বর সিংহ জানিয়েছেন, তিরুঅনন্তপুরম, মুম্বই, পুণে, হায়দরাবাদ থেকে জয়পুর হয়ে বিদেশে ৪৫ বার মাদক পাচার করা হয়েছে। এই মাদকের বর্তমান বাজারদর ২০০০ কোটি টাকারও বেশি।

এনসিবির ডিডিজির আরও দাবি, ‘মঙ্গাই’ নামে ছবিটি মাদক পাচারের টাকাতেই বানিয়েছেন। এই পাচারচক্রের সঙ্গে বড় বড় মাথারাও জড়িত আছে বলে দাবি তাঁর। খুব শীঘ্রই সেই সব ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। শুধু সিনেমা বা আবাসন ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ নয়, মাদক পাচারের টাকা হোটেল ব্যবসাতেও বিনিয়োগ করেছেন সাদিক। চেন্নাইয়ে একটি হোটেলেরও খোঁজ পেয়েছে এসিবি। এনসিবি সূত্রে খবর, তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু ব্যক্তিও এই পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া বলিউডের কয়েক জনের নামও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। রাজনীতিতেও পাচারের টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি এনসিবির। শনিবারই সাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement